অভিষেকেই পাকিস্তানকে জেতালেন নেওয়াজ
Published: 9th, August 2025 GMT
টি-টোয়েন্ট সিরিজে পারফর্ম করেছেন। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবে তিন ম্যাচের সিরিজে সবগুলো ইনিংসই ছিল কার্যকরী। সিরিজে নিজের সর্বনিম্ন রান করেছেন শেষ ম্যাচে, সেটিও ৭ বলে ১৫ রানের ‘ক্যামিও’। এবার ওয়ানডে সিরিজে এসব পারফরম্যান্সকেও ছাড়িয়ে গেলেন হাসান নেওয়াজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের আজ প্রথম ম্যাচে তাঁর ৫৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে জিতেছে পাকিস্তান। এটি ছিল তাঁর ওয়ানডে অভিষেক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ত্রিনিদাদে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ২৮০ রান।
নেওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে এই লক্ষ্য ১১ বল বাকি থাকতে তাড়া করে পাকিস্তান। তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর ওয়ানডেতেও ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের রান তাড়ায় ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুব ছাড়া সবাই ব্যাট হাতে কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন। বাবর আজম অল্পের জন্য ফিফটি পাননি, আউট হন ৪৭ রান করে।
রিজওয়ান ফিফটি করার পর ৩৮তম ওভারে যখন আউট হলেন, পাকিস্তানের জিততে দরকার ৭৬ বলে ১০১ রান। সেখান থেকে হুসেইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ বলে ১০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন নেওয়াজ। তালাত অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ আরও কিছু রানের জন্য আক্ষেপ করেছেন। অবশ্য ২৩৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো সংগ্রহই তুলেছে। এর কৃতিত্ব গুড়াকেশ মোতির, ১৮ বলে ৩১ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন আরও তিনজন—এভিন লুইস(৬০), শাই হোপ(৫৫) ও রোস্টন চেজ(৫৩)। এদের কেউ সেঞ্চুরি করতে পারলে সংগ্রহটা হয়তো তাতেই বড় হতো। পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুজনেই ৮ ওভার করে বোলিং করেছেন। ৫১ রানে আফ্রিদি নিয়েছেন ৪ উইকেট, ৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৮০ (লুইস ৬০, হোপ ৫৫, চেজ ৫৩; আফ্রিদি ৪/৫১, নাসিম ৩/৫৫)
পাকিস্তান: ২৮৪/৪ (নেওয়া ৬৩*, রিজওয়ান ৫৩, বাবর ৪৭; জোসেফ ২/৬৫, মোতি ১/৪২)
ম্যাচসেরা: হাসান নেওয়াজ
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।
‘উচ্ছেদ–আতঙ্কে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা’ শিরোনামে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস, সৌমিত্র সরদার, বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও হিন্দোল নন্দী সোমবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
অন্যতম রিট আবেদনকারী উৎপল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কলোনি থেকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চার আইনজীবী রিটটি করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা ওখানে আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে, অর্থাৎ আপাতত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্ছেদ-আতঙ্কে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) একটি কলোনির বাসিন্দারা। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার ওই কলোনিতে ৩৯টি সংখ্যালঘু হরিজন পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, আগামী দুর্গাপূজার পর তাদের এই কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। এতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন এই কলোনির বাসিন্দারা।
এই উচ্ছেদপ্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে নগর ভবনে গিয়ে কলোনির বাসিন্দারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসিন্দাদের দাবি শতাধিক বছর ধরে তাঁরা নগরের কাঠপট্টি এলাকার এই কলোনিতে বসবাস করে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছেন। এত বছরেও তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের নতুন জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।