দলীয়ভাবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন করে বেআইনি কাজ করেনি, তবে নৈতিকতার জায়গা থেকে যদি ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে সেজন্য দেশ ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির মহাসচিব ও সাবেক এমপি মুজিবুল হক চুন্নু।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গুলশানের ইমানুয়েলস কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত দলের জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির এক সময়ের মহাসচিব ও জাপা জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, দলের কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজি ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদসহ জেলা-উপজেলার কাউন্সিলরবৃন্দ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতি করতে গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে হয়তো সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি নাই, নেওয়াও অনেক সময় যায় না। আমরা বিগত অনেকগুলো নির্বাচন করেছি, অনেকে বিভিন্ন সময় আমাদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন, বিভিন্ন দলের সহযোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন; একটি কথা বলবো, আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বেআইনী কোনো কাজ করি নাই, যদি নৈতিকভাবে কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেজন্য আজকে এই কাউন্সিলে দাড়িঁয়ে পার্টির পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।’’

সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করে চুন্নু বলেন, ‘‘আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো, জাতীয় পার্টি একটি শান্তিপূর্ণ উদার গণতান্ত্রিক পার্টি। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করি। আমরা সেই দলকে নিয়ে দেশের মানুষের কাছে যেতে চাই। দেশের সকল আইন, নিয়ম কানুন মেনে রাজনীতি করতে চাই। সেজন্য সকল রাজনৈতিক দল, সরকার- সবার সহযোগিতা চাই।’’

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক উন স ল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ