বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে যাচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ২০২৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: ফখরুল

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত: ফখরুল

বিস্তারিত আসছে.

..

 

ঢাকা/হিমেল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের আমিরকে রিজভীর প্রশ্ন ‘জেনোসাইড হবে কেন?’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চেয়েছেন, ‘‘জামায়াতের আমির বলেছে নির্বাচন এবং গণভোট একসাথে হলে নাকি জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি এটা বলে কি গোটা জাতিকে হুমকি দিলেন? জেনোসাইড হবে কেন?’’ 

রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজনে ‘‘গণতন্ত্রে উত্তরণে করণীয়’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

‘তারেক রহমান মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন’

ইসির সামনে অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘জেনোসাইড শেখ হাসিনা করার চেষ্টা করেছে। ৭১ সালে হানাদার বাহিনী জেনোসাইড করেছে। আপনি জেনোসাইডের হুমকি দিচ্ছেন, এটা তো জনগণ ভালোভাবে নেবে না। আপনি খুব বিপজ্জনক কথা বলেছেন। আমরা জেনোসাইড বন্ধ করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, বিপুল মানুষ নিজের জীবন দিয়ে একটা রক্তপিপাসু সরকারকে সরিয়েছে। আপনি এই আশঙ্কা করলেন কেন? আপনি তো একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। আপনি প্রচুর গণহত্যার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। আতঙ্ক তৈরি করছেন।’’

এ বিষয়ে জাতিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। 

রিজভী বলেন, ‘‘আপনারা চাচ্ছেন গণভোট যাতে আগে হয়। বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল বলেছে আগে যদি গণভোট করা হয় তাহলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। গণভোট এবং নির্বাচন একদিনে করলে ভালো হবে। এই ডিবেটটা চলছে। গণতন্ত্রের মানেই তো হচ্ছে ডিবেট এবং ডিসকাশন। কিন্তু আপনি সেখানে জেনোসাইডের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন! আপনি একটি রক্তগঙ্গা বইবার ইঙ্গিত দিচ্ছেন! এটা তো ভয়াবহ ব্যাপার!’’

জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতার বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘আজকে একটি রাজনৈতিক দলের একজন বললেন যে, তাদের কথায় প্রশাসন উঠবে এবং বসবে। এটা গণতন্ত্রের কোনো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নেই। এই কথার মাধ্যমে আপনি তো আরেকটা দানবীয় শাসন তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছেন। আরেকটা শেখ হাসিনা এবং আরেকটা ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। শেখ হাসিনা পুলিশকে বানিয়েছে ছাত্রলীগ, র‍্যাবকে বানিয়েছে যুবলীগ এবং তারা গুম-খুন করে আনন্দিত হতো। যারা ক্যাডারভিত্তিক দল করে, তারা প্রশাসন-বিচার বিভাগ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ক্যাডার বসানোর চেষ্টা করে। এটাই হয় গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা ছিল, সেটা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। এখন আমাদের সেটা করতে হবে। এখন যদি কোনো ত্রুটি বিচ্যুত হয়, তাহলে এই দেশ এবং আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়বো যে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব সংকটের মুখে পড়বে।’’

‘‘দেশ কীভাবে চলবে, সেই শাসন নিশ্চিত করবে জনগণ। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে তাদের প্রতিনিধি কে হবে। সেই নির্বাচনটা হতে হবে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। এটা না হলে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না,’’ বলেন তিনি। 
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এমএ মালেক প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াতের আমিরকে রিজভীর প্রশ্ন ‘জেনোসাইড হবে কেন?’