কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে রেজু আরা বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিরিংগা ইউনিয়নের পশ্চিম পালাকাটা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রেজু আরা পশ্চিম পালাকাটা এলাকার গোলাম কাদেরের স্ত্রী। পরিবারের লোকজন বলেন, রেজু আরা ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বের হন। চিরিংগা স্টেশনে যাওয়ার পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় কক্সবাজারগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।

প্রত্যাক্ষদর্শী ফাহিম মোরশেদ (৩০) বলেন, রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়েন ওই নারী। এ সময় তাঁর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন।

চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো.

ফরহাদ বিন জাফর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে কাটা পড়ে ওই নারী মারা গেছেন। ট্রেনটি সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া অতিক্রম করে।

কক্সবাজার রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, রেলওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় এলাকাবাসীর সামনে নিহতের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ব্যবসায়ী মিলন হোসেন (৩৮)। সকালে রাস্তার পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর গ্ৰামের রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, অজ্ঞাতনামা কেউ ডেকে নিয়ে তাকে শ্বাসারোধে হত্যা করেছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন। নিহত মিলন পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার হইজোর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মিলনের খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। সকালে সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর গ্ৰামে রাস্তার পাশে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে, কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিহত মিলনের বাবা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে সুজানগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহারে নিহত মিলনের বাবা অভিযোগ করেছেন, সোমবার রাতে মিলনকে কেউ ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে গেছে। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ