দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির অবদান অপরিসীম: উপাচার্য
Published: 9th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, “শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রত্যাশা ও লক্ষ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম।”
শনিবার (৯ আগস্ট) বাকৃবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুপুর ১২টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানুষের সংস্পর্শে ভালো হতে পারো, আবার খারাপও হতে পারো। জুলাই-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি যেন বাকৃবিতে আর ফিরে না আসে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের সজাগ ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। এখন থেকে প্রতি সেমিস্টারে তোমাদের ফলাফল ও উপস্থিতি অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে, যাতে তারা জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী করছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এলেও তা অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে।”
আরো পড়ুন:
খুবির আবাসন সংকট নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার
না চেয়েও ঢাবি ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পাওয়ার দাবি শিক্ষার্থীর
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগত ১ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া রবিবার (১০ আগস্ট) বিভিন্ন অনুষদের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও নবীনবরণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও শাখার পরিচালক, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেন, “এক বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলে-মিশে কাজ করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের চিন্তাভাবনাকে সম্মানের সঙ্গে দেখা এবং ছাত্রদের দায়িত্ব শিক্ষকদের মর্যাদার জায়গাকে সচেষ্ট রাখা। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি, তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন তোমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখবে, এ বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের দ্বিতীয় পরিবার, আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তোমাদের পরিবারের সদস্য।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির অবদান অপরিসীম: উপাচার্য
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, “শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রত্যাশা ও লক্ষ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম।”
শনিবার (৯ আগস্ট) বাকৃবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুপুর ১২টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানুষের সংস্পর্শে ভালো হতে পারো, আবার খারাপও হতে পারো। জুলাই-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি যেন বাকৃবিতে আর ফিরে না আসে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের সজাগ ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। এখন থেকে প্রতি সেমিস্টারে তোমাদের ফলাফল ও উপস্থিতি অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে, যাতে তারা জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী করছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এলেও তা অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে।”
আরো পড়ুন:
খুবির আবাসন সংকট নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার
না চেয়েও ঢাবি ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পাওয়ার দাবি শিক্ষার্থীর
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগত ১ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। এছাড়া রবিবার (১০ আগস্ট) বিভিন্ন অনুষদের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও নবীনবরণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও শাখার পরিচালক, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেন, “এক বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলে-মিশে কাজ করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের চিন্তাভাবনাকে সম্মানের সঙ্গে দেখা এবং ছাত্রদের দায়িত্ব শিক্ষকদের মর্যাদার জায়গাকে সচেষ্ট রাখা। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি, তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন তোমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখবে, এ বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের দ্বিতীয় পরিবার, আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তোমাদের পরিবারের সদস্য।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী