বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারের একাডেমিক ফলাফল ও উপস্থিতির তথ্য এখন থেকে অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে কারও বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলেও জানানো হবে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত এক হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আগামীকাল রোববার বিভিন্ন অনুষদে তাঁদের নবীনবরণ শেষে পরদিন সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।

নবাগতদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘জুলাই-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি যেন আর ফিরে না আসে, এ জন্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং দেশপ্রেমিক হতে হবে। আপনাদের দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো.

শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক রুহুল আমিন ও প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল আলীম। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শাখার পরিচালক, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনাকে সম্মান দেওয়া এবং তাঁদের মর্যাদা রক্ষা করা। ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি। জাতির প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখতে হবে, এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের দ্বিতীয় পরিবার আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা পরিবারের সদস্য।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নভেম্বরে কি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে

সংস্কার প্রশ্নে গত প্রায় সাড়ে আট মাস রাজনৈতিক দলগুলো ছিল আলোচনার টেবিলে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সবকিছু। কিন্তু নভেম্বরে আবার রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে নেমেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো। একদিকে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত, অন্যদিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের কর্মসূচি নিয়ে নামার পেছনে নির্বাচনের প্রস্তুতি, নাকি রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করার ইঙ্গিত—এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ