টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম জয়ের রেকর্ড নিউ জিল্যান্ডের
Published: 9th, August 2025 GMT
প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছিল ১৯৩৮ সালে। ইংল্যান্ড দ্য ওভালে ইনিংস এবং ৫৭৯ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল। ৮৭ বছর ধরে এই রেকর্ড অক্ষত। সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে না পারলে এবার স্মরণীয় কিছু করে রাখল নিউ জিল্যান্ড।
জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ৩৫৯ রানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম জয়ের রেকর্ড। ১ রানের জন্য তারা তাসমান পাড়ের আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ২০০২ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস এবং ৩৬০ রানে হারিয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে ১২৫ রান করা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে। নিউ জিল্যান্ড এক ইনিংস ব্যাটিং করে তুলেছে ৩ উইকেটে ৬০১ রান। শনিবার বুলাওয়েতে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের ইনিংসে ধস নামান পেসার জ্যাকারি ফোকস। অভিষিক্ত এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ম্যাচে ৭৫ রানে ৯ উইকেট নিয়ে নিজের অভিষেক দারুণভাবে রাঙিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে টেস্ট অভিষেকে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। ভেঙেছেন উইল কো’র ৯৩ রানে ৯ উইকেটের রেকর্ড।
আরো পড়ুন:
নাটাই শ্রীলঙ্কার হাতে
ইতিহাস গড়েও হারের গ্লানিতে ভারত, জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড
এছাড়া নিউ জিল্যান্ডের এটি টেস্টে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২১ সালে তারা জিম্বাবুয়েকে ৩০ রানে হারিয়েছিল নেপিয়ারে।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কেবল লড়াই করেন নিক ওয়েলচ। ৭১ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। বাকিদের সম্মিলিত রান ৫৪। ওয়েলচ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন (১৭)।
ফোকসের ৫ উইকেট বাদে ২টি করে উইকেট নেন ডাফি ও হেনরি। সিরিজে ১৬ উইকেট নিয়ে হেনরি সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। ১৫৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প র র কর ড উইক ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।
‘উচ্ছেদ–আতঙ্কে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা’ শিরোনামে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস, সৌমিত্র সরদার, বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও হিন্দোল নন্দী সোমবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
অন্যতম রিট আবেদনকারী উৎপল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কলোনি থেকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চার আইনজীবী রিটটি করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা ওখানে আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে, অর্থাৎ আপাতত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্ছেদ-আতঙ্কে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) একটি কলোনির বাসিন্দারা। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার ওই কলোনিতে ৩৯টি সংখ্যালঘু হরিজন পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, আগামী দুর্গাপূজার পর তাদের এই কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। এতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন এই কলোনির বাসিন্দারা।
এই উচ্ছেদপ্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে নগর ভবনে গিয়ে কলোনির বাসিন্দারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসিন্দাদের দাবি শতাধিক বছর ধরে তাঁরা নগরের কাঠপট্টি এলাকার এই কলোনিতে বসবাস করে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছেন। এত বছরেও তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের নতুন জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।