প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছিল ১৯৩৮ সালে। ইংল‌্যান্ড দ‌্য ওভালে ইনিংস এবং ৫৭৯ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল। ৮৭ বছর ধরে এই রেকর্ড অক্ষত। সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে না পারলে এবার স্মরণীয় কিছু করে রাখল নিউ জিল‌্যান্ড।

জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ৩৫৯ রানে হারিয়েছে নিউ জিল‌্যান্ড। যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম জয়ের রেকর্ড। ১ রানের জন‌্য তারা তাসমান পাড়ের আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ২০০২ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস এবং ৩৬০ রানে হারিয়েছিল।

প্রথম ইনিংসে ১২৫ রান করা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে। নিউ জিল‌্যান্ড এক ইনিংস ব‌্যাটিং করে তুলেছে ৩ উইকেটে ৬০১ রান।  শনিবার বুলাওয়েতে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের ইনিংসে ধস নামান পেসার জ‌্যাকারি ফোকস। অভিষিক্ত এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ম‌্যাচে ৭৫ রানে ৯ উইকেট নিয়ে নিজের অভিষেক দারুণভাবে রাঙিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে টেস্ট অভিষেকে নিউ জিল‌্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। ভেঙেছেন উইল কো’র ৯৩ রানে ৯ উইকেটের রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

নাটাই শ্রীলঙ্কার হাতে

ইতিহাস গড়েও হারের গ্লানিতে ভারত, জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড

এছাড়া নিউ জিল‌্যান্ডের এটি টেস্টে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২১ সালে তারা জিম্বাবুয়েকে ৩০ রানে হারিয়েছিল নেপিয়ারে।

জিম্বাবুয়ের ব‌্যাটসম‌্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কেবল লড়াই করেন নিক ওয়েলচ। ৭১ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। বাকিদের সম্মিলিত রান ৫৪।  ওয়েলচ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন (১৭)।

ফোকসের ৫ উইকেট বাদে ২টি করে উইকেট নেন ডাফি ও হেনরি। সিরিজে ১৬ উইকেট নিয়ে হেনরি সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। ম‌্যাচ সেরা হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। ১৫৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প র র কর ড উইক ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বৈরাচারী বন্ধে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রস্তুত: ধর্ম উপদেষ্টা

মসজিদ কমিটির স্বৈরাচারী বন্ধে মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “শিগগিরই মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে গেজেট প্রকাশ করা হবে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে সরকার ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের মূল কাঠামো ঠিক রেখে ভেতরে সাজানো হবে।”

অন‌্যদি‌কে, একই‌দি‌ন রাজধানীর বারিধারায় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে সংস্থাটির অফিসে অসহায় ও এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের ভরণপোষণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, “ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মেই দান, সাহায্য ও সহানুভূতির কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ধর্মে মানবসেবাকে পবিত্র কর্তব্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, ধৈর্য, সহানুভূতি, এবং আত্মত্যাগের মতো গুণাবলিকে জাগ্রত করে।এটি মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে সহায়তা করে।”

মানবসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, “এটি সমাজে সহানুভূতির বিকাশ ও সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করে। মানুষ যখন পরস্পরের পাশে দাঁড়ায় তখন সমাজে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। এতে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় থাকে।”

তিনি আরো বলেন, “মানবসেবার মাধ্যম যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, যেটা অর্থ বা খ্যাতি দিয়েও অর্জন করা যায় না।”

আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, “এ সংস্থাটি বহুদিন ধরে মানব সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অসহায় ও এতিমদের প্রতিপালন, মসজিদ-মাদ্রাসা স্থাপন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, গৃহহীন ব্যক্তিদের জন্য ঘর নির্মাণ, বানভাসি মানুষের সহায়তাসহ নানা ধরনের সেবাধর্মী  কার্যক্রম এই সংগঠনটি করে থাকে।”

এ সংস্থা আগামীতেও মানব সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে উপদেষ্টা সারা দেশের ৮১টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিদের হাতে তিন কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

উল্লেখ্য, অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইমদাদুল মুসলিমিনের অর্থায়নে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (প্রকল্প-১) মো. আনোয়ার হোসেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর  ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) এর মহাসচিব মাহফুজুল হক ও সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক ইসলামী বেসরকারি সংস্থা রাবেতা আল আলম আল ইসলামীর প্রতিনিধি হাসান আকিল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ