সালমানের শুটিং সেট কেন ভাঙা হচ্ছে?
Published: 10th, August 2025 GMT
সালমানের খানের নতুন সিনেমা ‘দ্য ব্যাটল অব গালওয়ান’। এটি নির্মাণ করছেন অপূর্ব লাখিয়া। সালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সৈন্যদের বিরোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে গল্প। কর্নেল বিকুমা সন্তোষ বাবুর চরিত্রে অভিনয় করবেন সালমান। এজন্য শারীরিকভাবে নানা পরিবর্তনও করেছেন এই অভিনেতা।
চলতি মাসে মুম্বাইয়ে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরুর কথা ছিল। এজন্য মেহবুব স্টুডিওতে সেটও তৈরি করা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন নির্মাতারা। গত জুলাইয়ে বান্দ্রার মেহবুব স্টুডিওতে নির্মিত সেটটিও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মিড-ডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মিড-ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “বান্দ্রায় তৈরি সেটটি এরই মধ্যে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ফ্ল্যাট বেচে দিলেন সালমান খান
আব্দু রোজিককে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে যা জানা গেল
কারণ ব্যাখ্যা করে সূত্রটি বলেন, “এটি একটি সৃজনশীল সিদ্ধান্ত। নির্মাতারা সরাসরি অ্যাকশন দৃশ্য দিয়েই শুরু করতে চান। তাছাড়া সালমানের একটি নির্দিষ্ট লুক আছে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মুম্বাই ও লাদাখের শুটিংয়ের মাঝে ৩০ দিনের ব্যবধান রাখা সম্ভব না। পরিচালক অপূর্ব মনে করেন, ‘এই দৃশ্যগুলো পরপরই শুট করা প্রয়োজন।’ তাই আপাতত মুম্বাই শিডিউল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শেষ পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, শহরে কোনো গানের দৃশ্য বা অতিরিক্ত কোনো দৃশ্যের শুট করবেন কি না।”
২০২০ সালের জুন মাসে সংঘটিত ভারত-চীন সামরিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে ‘দ্য ব্যাটল অব গালওয়ান’। গুঞ্জন উড়ছে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে সিনেমাটি সমস্যায় পড়েছে। তবে সূত্রটি এই গুঞ্জনকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সূত্রটি বলেন, “এই সিনেমায় একজন সৈনিকের বীরত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। এটি অন্যকোনো দেশকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করছে না। নির্মাতারা যথাযথ অনুমতি ছাড়া সিনেমার ঘোষণা দিতেন না।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।
খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।
মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।
আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।
আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮