গাজীপুরের কালীগঞ্জের টঙ্গী-ভৈরব রেললাইনের তুমলিয়া মিশন রেলওয়ে ব্রিজের কাছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মোজাম্মেল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। পুলিশের ধারণা, পূর্ব বা পারিবারিক শত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে মোজাম্মেলকে হাত-পা বেঁধে ব্রিজের কাছ দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেখতে পান এলাকার লোকজন। এসময় এলাকাবাসীর টর্চ লাইটের আলো দেখে মোজ্জামেলকে খাদের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা। পরে কাছে গেলে, মোজাম্মেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো.

আলাউদ্দিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বা পারিবারিক শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।  ভুক্তভোগী চিকিৎসাধীন থাকায় এখনো তার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” 

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনী সীমান্তে ৬ চোরাকারবারি আটক

ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় মদসহ ছয় চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), একই গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে মো. মমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহাম্মদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।

আরো পড়ুন:

পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার পিলখানায় শুরু হ‌চ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন

বিজিবি সূত্র জানায়, ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভারতীয় তিন বোতল মদসহ ছয় মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ফুলগাজী থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানের সময় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উপস্থিত ছিলেন। 

বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‍“সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদকের অবৈধ পাচার ও চোরাচালান রোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।” 

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ