মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে
Published: 12th, August 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁরা বলছেন, সন্তানকে আর ফিরে পাবেন না। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার চান তাঁরা। পাশাপাশি সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জরিমানাও চেয়েছেন অভিভাবকেরা।
মঙ্গলবার নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা সকাল সাতটা থেকে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করবেন। সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানাবেন তাঁরা।
গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এফ-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি বেলা একটার পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো.
অভিভাবকেরা বলছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলের অস্তিত্ব টিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কুলের স্থাপনায় কত ক্ষতি হলো, তার হিসাব করে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইছে। কিন্তু স্কুলের এতগুলো শিক্ষার্থী মারা গেল, তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য ‘আকুল আবেদন’ জানাচ্ছেন—স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠিতে অভিভাবকদের সই নেওয়ার চেষ্টা করে। কয়েকজন অভিভাবক সই করেন। কিন্তু পরে অভিভাবকদের অনেকে সেই সই কেটে দিয়ে আর কোনো আলোচনা না করে স্কুল থেকে ফেরত চলে যান।
৭ আগস্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের এ চিঠিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব চরম সংকটে পড়েছে, প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অভিভাবকেরা বলছেন, শুধু চিঠি নয়, এর আগেও স্কুলের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে তৎপর হলেও নিহতদের বিষয়ে কোনো কথা বলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে অভিভাবকেরা যাতে নিজেরা বসে আলোচনা করেন, সে পরামর্শও দিয়েছে তারা।
নিহতদের নাম ও ছবি দিয়ে টানানো ব্যানার দেখছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত ম ইলস ট ন ঘটন য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি’র পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি: রাজাপুরে ১৪৪ ধারা জারি
ঝালকাঠির রাজাপুরে একই সময়, তারিখ ও স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ ডাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১০ টায় ০৫. ১০. ৮২৮৪. ০০১. ০৬. ০০১. ২৫-৯০৮ নম্বর স্মারকে এ আদেশ জারি করেছেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ।
ইউএনও স্বাক্ষরিত আদেশে লেখা রয়েছে, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় ১৩ আগস্ট বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় সভা সমাবেশ, মিছিল, মিটিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।”
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জারিকৃত এমন আদেশের কারণ হিসেবে বলা হয় যে, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজাপুর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুর হোসেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানানো হয় ১৩ আগস্ট বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে র্যালি ও সমাবেশ করবেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত আরেকটি পত্রে একই তারিখ, একই সময় এবং একই স্থানে সমাবেশ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
একই স্থানে একই সময় পাল্টা-পাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে বিধায় উক্ত অবস্থা প্রতিরোধকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে উপজেলে প্রশাসন বরাবরে একটি পত্র দাখিল করেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন।
পরে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ কর্তৃক ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় এ আদেশ জারি করা হয়।
ঢাকা/অলোক/এস