পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী বালুচ লিবারেশন আর্মিকে (বিএলএ) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দেয়।

আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বিএলএ। এলাকাটি খনিজসমৃদ্ধ। সেখানে গোয়াদার গভীর সমুদ্রবন্দর ও অন্যান্য প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, গত মার্চে পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী ট্রেন জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের দায় স্বীকার করেছে বিএলএ। ওই ঘটনায় ৩১ জন বেসামরিক মানুষ ও নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন এবং ট্রেনের ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে জিম্মি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বিএলএকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করায় গোষ্ঠীটি আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বে।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে ট্রেনযাত্রীদের জিম্মিকারী বিএলএ গোষ্ঠী কারা, কী চায় তারা১২ মার্চ ২০২৫

আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে বেলুচিস্তান প্রদেশকে স্বাধীন করতে চায় বিএলএ। ২০০০ সালের মধ্যভাগে গোষ্ঠীটির যাত্রা শুরু হয়। বেলুচিস্তানে কয়েক বছর ধরে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছেন বিএলএর সদস্যরা।

আরও পড়ুনবেলুচিস্তানে সশস্ত্র আন্দোলন গোপনে কারা, কেন উসকে দিচ্ছে২৪ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এলএ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না: শেখ বশিরউদ্দীন

ভারত আরও চারটি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি। দুই দেশের মধ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে দর–কষাকষি চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে ১৫ শতাংশের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা থাকলেও এতটা অস্থিতিশীল নয় যে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। তাই রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে তাতে সমস্যা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের নতুন বিধিনিষেধের আওতায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ আছে। এমন বিধিনিষেধ দিয়ে গতকাল সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয় দেশটি। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে দেশটি।

এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। এর আগে বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ