বন্দরর মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
Published: 12th, August 2025 GMT
বন্দরে দিন দুপুরে ১২ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে যৌন হয়রানি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ভূক্তভোগী কিশোরী মা রুমা বেগম বাদী হয়ে লম্পট শাহাবুদ্দিনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১২টায় বন্দর থানার কোটপাড়াস্থ প্রতিবেশী সুমা বেগমের বসত ঘরে ওই যৌন হয়রানি ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার শম্ভুপুরা এলাকার বাসিন্দা সোহেল মিয়া ও তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর কোটপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
গত রোববার বেলা ১২টায় অভিযোগের বাদিনীর মা মমতাজ বেগম ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী উল্লেখিত ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান কালে ওই সময় লম্পট শাহাবুদ্দিন মিয়া উক্ত বাসায় প্রবেশ করে এবং মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কোলে করে প্রতিবেশী সুমা বেগমের বসত ঘরে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিযে যৌন হয়রানি করে।
পরে ভূক্তভোগী কিশোরী বিষয়টি তার পিতা/ মাতাকে জানালে এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য ন হয়র ন
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ