বন্দরে নব্য যুবদল নেতা  মিনহাজ মিঠু আবারো  বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুঁসে  উঠেছে  সাধারন জনগন।

মহানগর যুবদলে কতিপয় নেতার ছত্র ছায়ায় বন্দরে বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে নানা ভাবে বিতর্কিত হয়ে পরেছে ওই নব্য নেতা মিনহাজ মিঠু। তাকে থামানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছে বন্দরে সচেতন মহল।

এর ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায়  বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বাপ্পী ইন্ধনে বন্দর থানার নব্য যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা বন্দর থানার লেজারার্স ৫নং গল্লি এলাকায় জনৈক কাজী জহিরের ক্রয়কৃত পরিতক্ত একটি প্লট দখল করে বাউন্ডারি দেয়াল দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

এ ব্যাপারে জায়গার মালিক কাজী জহির গনমাধ্যমকে জানায়, আমি দীর্ঘ দিন ধরে  শারীরিক সমস্যা ভূগতেছি। বন্দর লেজারার্স ৫নং গল্লিস্থ একটি  প্লট ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ দিন ভোগ দখলে নিয়জিত রয়েছি।

এর ধারাবাহিকতা  মঙ্গলবার সকাল ১০টায় যুবদল নেতা রেলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা বাপ্পী পাঠানের ইন্ধনে নব্য যুবদল নেতা  মিনহাজ মিঠুসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী আমার ক্রয়কৃত প্লটে বেআইনি ভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে উক্ত প্লটটি দখল করার জন্য ইট দিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মানের পাঁয়তারা করে।

পরে  খবর পেয়ে বন্দর থানা যুবদলের স্থানীয় নেতারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্লট দখল কাজে বাধা প্রদান করিলে ওই সময় উল্লেখিত দখলবাজরা ঝামেলা এড়াতে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নব্য যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠু সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে মহানগর যুবদলের  কতিপয় কয়েকজন নেতা ছত্রছায়ায় নব্য যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে সাধারন লোকজনের কাছ থেকে  চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায়  থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় স্বচ্ছভাবে কর্মী পাঠানোর দাবি ২৩ সংগঠনের

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ‘সিন্ডিকেটের’ (চক্র) সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২৩টি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)। তারা বলেছে, অতীতে সিন্ডিকেটসহ যেসব কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছিল সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে কর্মী পাঠানোর দাবি জানিয়েছে বিসিএসএম।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে বিসিএসএম। এতে বলা হয়, অতীতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচার করতে হবে এবং কোনোভাবেই যেন তারা নতুন করে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত হতে না পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সাবেক সংসদ সদস্য লোটাস কামালের (সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল) পরিবারসহ সাবেক তিন সংসদ সদস্যকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণে জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত স্থগিত করার মালয়েশিয়ার অনুরোধে বাংলাদেশ রাজি হয়েছে।

এসব খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বিসিএসএম বলেছে, মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি না দেওয়া এবং অভিযোগের পুনঃ তদন্ত এবং বিচারিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তারা। তা ছাড়া এই সিন্ডিকেটের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের যে অভিযোগ আছে, সেই অগ্রগতি সম্পর্কেও সাধারণ নাগরিকদের অবহিত করার জোর দাবি জানাচ্ছে বিসিএসএম। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণের প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং বিসিএসএম এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সরকারের অর্থনীতিবিষয়ক শ্বেতপত্রে, গণমাধ্যমে গত এক বছরে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর এবং দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে একেকজন কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, যার সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই সিন্ডিকেট জড়িত। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দশজনের সিন্ডিকেট হয়েছিল এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে ঘিরে নানা অনিয়মের খবর নতুন নয়। কিন্তু কখনোই তাদের বিচার হয়নি।

বিসিএসএমের চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী ও কো–চেয়ার সৈয়দ সাইফুল হকের স্বাক্ষরে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা আশঙ্কা করছেন, এখন এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যদি জবাবদিহি ও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পায়, তবে একই ধরনের সিন্ডিকেট আবারও গড়ে উঠবে। বিসিএসএম আহ্বান জানাচ্ছে, ১১ থেকে ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে শ্রমবাজার উন্মোচন করতে গিয়ে সিন্ডিকেট নির্মূল করার বিষয়টি যেন গুরুত্ব না হারায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২৩টি নাগরিক সংগঠনের জোট বিসিএসএম অতীতেও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। এর আগে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল আরেক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া এলেই স্বচ্ছতার বদলে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। অতীতে সিন্ডিকেটসহ যেসব কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছিল আবার যেন ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

২৩ সংগঠন হচ্ছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ), বাস্তব, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাসুগ-ডায়াসপোরা অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রাইট যশোর, ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব অলটারনেটিভ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (ইনাফি), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশি অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা), ইমা রিসার্চ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (বিসিডব্লিউডব্লিউএফ), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা), বোয়াফ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন (ডেভকম) লিমিটেড, ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন, চেঞ্জ মেকারস, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (সিসিডিএ), কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ