‘টেস্ট ক্রিকেট দেশগুলোকে দেউলিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে’
Published: 13th, August 2025 GMT
অ্যাশেজ শুরুর আগে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তার মতে, এখনকার পরিস্থিতিতে অনেক দেশই টেস্ট খেলে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে, এমনকি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। তাই টেস্টের সংখ্যা কমানোর পক্ষেই তিনি সাফ কথা বলেছেন।
গ্রিনবার্গ এই বছরের মার্চে নিক হকলির জায়গায় দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি বলে আসছেন, সব টেস্ট খেলুড়ে দেশকে বারবার টেস্ট খেলতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। কারণ, এর খরচ অনেক দেশই সামলাতে পারবে না।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি মনে করি না যে বিশ্ব ক্রিকেটের সবাইকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই হবে এবং এটা হয়তো ঠিক আছে। কাউকে জোর করে টেস্ট খেলাতে গেলে আমরা আসলে তাদের দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
নিয়ম ভেঙে বিপাকে করবিন বোশ, পেলেন শাস্তি
ব্রেভিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে র্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড লাফ
তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটে পরিমাণের চেয়ে মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি সিরিজকে অর্থবহ করতে হলে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ জরুরি। গ্রিনবার্গ বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে কম খেলা আসলে আমাদের জন্য ভালো। তাই এমন ম্যাচ আয়োজন করতে হবে যেখানে ফলাফলের অনিশ্চয়তা থাকে এবং দর্শকদের আগ্রহও বেশি থাকে।”
আইসিসি ইতিমধ্যেই দুই বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চালু করেছে, যেখানে প্রায় সব টেস্ট সিরিজই অন্তর্ভুক্ত। তবে কিছু সিরিজ, যেমন গত মাসে নিউ জিল্যান্ডের জিম্বাবুয়ে সফর ডব্লিউটিসির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। যা এসব ম্যাচের আর্থিক লাভজনকতা ও প্রতিযোগিতামূলক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ