অ্যাশেজ শুরুর আগে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তার মতে, এখনকার পরিস্থিতিতে অনেক দেশই টেস্ট খেলে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে, এমনকি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। তাই টেস্টের সংখ্যা কমানোর পক্ষেই তিনি সাফ কথা বলেছেন।

গ্রিনবার্গ এই বছরের মার্চে নিক হকলির জায়গায় দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি বলে আসছেন, সব টেস্ট খেলুড়ে দেশকে বারবার টেস্ট খেলতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। কারণ, এর খরচ অনেক দেশই সামলাতে পারবে না।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি মনে করি না যে বিশ্ব ক্রিকেটের সবাইকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতেই হবে এবং এটা হয়তো ঠিক আছে। কাউকে জোর করে টেস্ট খেলাতে গেলে আমরা আসলে তাদের দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

নিয়ম ভেঙে বিপাকে করবিন বোশ, পেলেন শাস্তি

ব্রেভিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে রেকর্ড লাফ

তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটে পরিমাণের চেয়ে মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি সিরিজকে অর্থবহ করতে হলে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ জরুরি। গ্রিনবার্গ বলেন, “টেস্ট ক্রিকেটে কম খেলা আসলে আমাদের জন্য ভালো। তাই এমন ম্যাচ আয়োজন করতে হবে যেখানে ফলাফলের অনিশ্চয়তা থাকে এবং দর্শকদের আগ্রহও বেশি থাকে।”

আইসিসি ইতিমধ্যেই দুই বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চালু করেছে, যেখানে প্রায় সব টেস্ট সিরিজই অন্তর্ভুক্ত। তবে কিছু সিরিজ, যেমন গত মাসে নিউ জিল্যান্ডের জিম্বাবুয়ে সফর ডব্লিউটিসির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। যা এসব ম্যাচের আর্থিক লাভজনকতা ও প্রতিযোগিতামূলক গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ