‘চুলো জ্বালাতে পারি নাই, শুকনো খাবার খেয়ে টিকে আছি’
Published: 14th, August 2025 GMT
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানির এ বিপৎসীমা রেকর্ড করা হয়।
গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে প্রথমে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে তিস্তার পানি, পরে কিছুটা কমলেও রাতের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে আজ ভোরে তা ১১ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আগামী দুইদিন ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে।”
আরো পড়ুন:
তিস্তা পাড়ের ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুষ্টিয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১৩ স্কুল বন্ধ ঘোষণা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিপৎসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১২টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, “বারবার বন্যায় ধান, পাট, মাছ সব নষ্ট হয়ে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।”
কেল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, “সকালে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। চুলো জ্বালাতে পারি নাই, শুকনো খাবার খেয়ে টিকে আছি।”
ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর, বোল্ডারের চর, খোকার চর, খাড়াপাড়া, ফ্লাটপাড়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার কয়েকটি চ্যানেল বের হয়ে আবাদি জমি প্লাবিত করেছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিয়ে চ্যানেল বন্ধের চেষ্টা করছেন। পাউবো সহায়তা করছে। চরাঞ্চলের প্রায় ২০০ পরিবারের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমজাদ ভাই এমনভাবে বলেন যে আর না করতে পারিনি’
তাঁর পরিচয় তিনি লেখক, অভিনয়শিল্পী, পরিচালক। আজ প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনের জন্মদিন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। জন্মদিন উপলক্ষে আমজাদ হোসেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু জানা–অজানা তথ্য।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন আমজাদ হোসেন। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম ছড়া লেখেন, যা প্রকাশিত হয়েছিল ‘আজাদ’ পত্রিকায় শিশুদের পাতায়। ম্যাট্রিক পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে গোপনে কলকাতার দেশ পত্রিকায় কবিতা লিখে পাঠান। প্রকাশের আগেই দেশ পত্রিকা থেকে সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমজাদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।
সিনেমায় আমজাদ হোসেনের পথচলা শুরু হয় অভিনয় দিয়ে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরবর্তী সময়ে তিনি কালজয়ী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
আমজাদ হোসেন। ফাইল ছবি