সাতক্ষীরায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
Published: 14th, August 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ ও সদস্যসচিব আবু জাহিদ ডাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বুধবার রাতে জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সার্চ কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম খলিল, লিটন ও সাইফুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
ইবিতে শিক্ষক-শিবির বিতণ্ডা: বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠনগুলোর নিন্দা
খুলনায় মহররমের নামে শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের চেষ্টা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নির্ধারণে গণতান্ত্রিক ভোটে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় তারা ঔদ্ধত্য আচরণ, ভোটে বাধা, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এ কারণে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ বলেন, ‘‘দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলকে ভালোবাসলে দলের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে হবে।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ