উপকরণ

মুরগি ১টি (মাঝারি টুকরা করা), পেঁয়াজকুচি ৩টি, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, রসুনবাটা আধা চা–চামচ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ১০ সেন্টিমিটার, ছোট এলাচি ৪টি, লবঙ্গ ৩টি, কালো গোলমরিচ ৬টি, হলুদগুঁড়া আধা চা–চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা–চামচ, জিরাবাটা ১ চা–চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা–চামচ, পালংশাককুচি ২ কাপ, কাসুন্দি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫টি, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।

আরও পড়ুনস্টার ফ্রাই বিফ উইথ ভেজিটেবলসের রেসিপি১১ আগস্ট ২০২৫প্রণালি

গরম তেলে পেঁয়াজকুচি ভেজে তাতে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে নেড়ে বাকি সব মসলা দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। এতে মাংসগুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ভালোভাবে কষানো হলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে ফুটে উঠলে এতে পালংশাক দিয়ে নেড়ে কাসুন্দি দিন। ঝোল মাখা মাখা হলে কাঁচা মরিচ ও ভাজা জিরার গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুনকিডনি ভালো রাখতে রোজ কয় লিটার পানি খাবেন১১ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ পেরিয়েও ‘জ্বলছে’ ‘শোলে’, কেন এখনো নতুন

তখনো ডিজিটাল জমানা আসেনি। গ্রামগঞ্জে ভিসিআর চালিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর চল; টিকিট পাঁচ টাকা। নব্বইয়ের দশকে স্কুল পালিয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈল বাজারে ‘নুন শো’তে দেখা ‘শোলে’ কিশোর মনে যতটা আঁচড় কেটেছিল, আজ এত বছর পরেও তা খুব একটা ফিকে হয়নি।
৫০ বছর। কোনো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা পরিমাপে সময়ের এই হিসাবের চেয়ে জুতসই মাপকাঠি আর কীই–বা হতে পারে! এখনো দর্শককে যেভাবে আবিষ্ট করে রেখেছে ‘শোলে’—আবেগে, মুগ্ধতায় তার তুলনা কেউ কেউ ক্ল্যাসিক সাহিত্য বা শিল্পের সঙ্গে টানতে পারেন। এককথায় একে বলিউডের ‘আলটিমেট ফিল্ম’ বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ‘শোলে’ শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ।
রমেশ সিপ্পি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিকে শুরুতে সাধারণ অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে কালের চাকায় সমানতালে দৌড়ে এসে এটি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এক নির্মাণ। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘কালজয়ী’র তকমা। বহুবার দেখেও তাই পুরোনো হয় না।

কেন এখনো ‘নতুন’? কেননা ‘শোলে’ একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। এটিকে বলা চলে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাসালা ফিল্ম’; যেখানে রোমাঞ্চ, কমেডি, অ্যাকশন, ট্র্যাজেডি, প্রেম, প্রতিশোধ, সর্বোপরি সুর-অসুরের দ্বন্দ্ব—কী নেই!  ‘স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন’ ঘরানার প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষ করে এই ঘরানার জনক সার্জো লেওনের চলচ্চিত্র থেকে যে অনুপ্রাণিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আলাদা করে বলার কথাটি হলো ইতালীয় সেই ঘরানাকে পুরোপুরি ভারতীয় বাস্তবতায় রূপান্তরের দুর্দান্ত এক উদাহরণ ‘শোলে’। সেলিম–জাভেদ জুটির চমৎকার চিত্রনাট্যে মহাভারতীয় নৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতীকী উপস্থাপন সমসাময়িক ভারতীয় সমাজবাস্তবতার দারুণ এক প্রতিরূপ।

‘শোলো’ সিনেমার পরিবর্ধিত সংস্করণের দৃশ্য। কোলাজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ