ফরিদপুরে চোর সন্দেহে যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে পিটুনি
Published: 15th, August 2025 GMT
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরায় আকিজ জুট মিল এলাকায় চোর সন্দেহে এক যুবককে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী যুবকের নাম আহাদ সিকদার (৩০)। তিনি ডোবরা গ্রামের বাসিন্দা সালাম সিকদারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে জুট মিলের তার, মিলগেটের দোকানসহ বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন আহাদকে ধরে একটি দোকানঘরে নিয়ে যান। সেখানে ঘরের আড়ার সঙ্গে পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে বোয়ালমারী থানায় সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় যুবদল কর্মী কালাম শেখ বলেন, ‘আহাদ চোর ও মাদকসেবী। গত কয়েক দিনে এলাকায় তিনটি চুরির ঘটনায় সে জড়িত। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পেটায়। পরে আমি তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দিই।’
রবিউল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘মিল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা তিনটি মামলার আসামি আহাদ। চুরির অভিযোগে এলাকাবাসী তাঁকে ধরে মারধর করেন। খবর পেয়ে আমি মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে যাই। উদ্ধার না করলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত।’
তবে আহাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ইজিবাইক চালান। কালাম ও রবিউলের লোকজন তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে আড়ার সঙ্গে পা বেঁধে উল্টো ঝুলিয়ে লোহার রড, কাঠ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, চুরির অভিযোগে গত মঙ্গলবার আহাদকে থানায় আনা হয়েছিল। তবে কেউ মামলা করতে রাজি হননি। এ জন্য বুধবার তাঁকে আদালতে চালান করা হয়। সেদিনই তিনি জামিনে মুক্তি পান। ঝুলিয়ে পেটানোর বিষয়ে আহাদ কিংবা যাঁরা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা কেউ কিছু বলেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।