‘শিক্ষা ব্যবস্থা হত্যার জন্য যা যা দরকার, তা করেছে স্বৈরাচার সরকার’
Published: 15th, August 2025 GMT
একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে গলা টিপে হত্যা করার জন্য যা যা দরকার ছিল, স্বৈরাচার সরকার তাই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, ‘‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় দেশে হাজার হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সময়ে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পাশাপাশি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। আগের সরকারের আমলে সকল রেজিস্টার্ড স্কুল সরকারি হয়েছে। আর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার অবস্থা কী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’’
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দাখিল মাদ্রাসার হলরুমে সদর উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বিগত সরকার চিঠি দেয়, নতুন করে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কোড নম্বর দেয়া যাবে না। মাদ্রাসা বন্ধ। এর কারণ ছিল, ইবতেদায়ী হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার সাপ্লাই লাইন। সাপ্লাই লাইন যদি বন্ধ হয়, তাহলে উপরের লাইনটিও বন্ধ হয়ে যাাবে। বিভিন্ন জায়গায় বিল্ডিং দিয়েছে, এটা লোক দেখানো। উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে ছাত্র থাকবে না, তখন এই বিল্ডিং স্কুলে রূপান্তরিত করা হবে।’’
আরো পড়ুন:
যৌন হয়রানির তদন্ত: খুবি শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
শহীদ সাজিদের শাহাদাতবার্ষিকীতে জবি শিবিরের আলোচনা সভা
তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের সন্তানেরা জীবন দিয়ে পরিবর্তন ঘটালো। যাকে আমরা বিপ্লব বলছি। আসলে আমরা কি বিপ্লব করেছি? আমাদের চিন্তাজগতে, ভাবনার জগতে, কর্মের জগতে আমাদের কোনো পরিবর্তন এসেছে? তাহলে তো বিপ্লব হয়নি। বিপ্লব মানেই পরিবর্তন। আপনি চব্বিশের আগস্টের আগে যা ভাবতেন, যা করতেন; এখনো যদি তা ভাবেন, আর করেন, তাহলে তো কোনো পরিবর্তন হয়নি।’’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবীর মো.
ঢাকা/নাঈম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর উপজ ল ইবত দ য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: চতুর্থ দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন একজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চতুর্থ দিনে মাত্র একজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তিনি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন একজন। তিনি সদস্য পদের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। আর একজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে ৪৩ জন।”
তিনি আরো বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার মামলায় আসামিরা ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবেন না। ভোটের আগের দিনও খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখা হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/সাইফ