বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখমের মামলায় ২ হামলাকারি সন্ত্রাসী পিতা/পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নান্টু মোল্লা (৫২) ও তার ছেলে জুয়েল (২২)। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে আদালতে প্রেরণ করেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায়  এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ