উপরের নির্দেশে কাঙালিভোজের খিচুড়ি নিয়ে গেল পুলিশ
Published: 15th, August 2025 GMT
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল কাঙালিভোজের আয়োজন করেন। কাঙালিভোজের খিচুড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। তবে এর আগেই কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের পূর্ব দাশড়া এলাকায় মফিজুল ইসলাম খান কামালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম খান কামাল ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন: ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৫। নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমি আজকে দিনটি পালন করার চেষ্টা করেছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকালে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হয়েছে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল। আয়োজন ছিল কাঙালিভোজের। বাকিটা.
যোগাযোগ করা হলে মফিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শাহদাতবার্ষিকী পালন করার অধিকার আমার আছে। কিন্তু পুলিশ এসে আমাকে বাধা দিয়েছে। কাঙালিভোজের জন্য রান্না করা খিচুড়ি তুলে নিয়ে গেছে।’’
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আমানউল্লাহ বলেন, ‘‘আমরা উপরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি। রান্না করা খাবার আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’’
চন্দন//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ