রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাংক থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার
Published: 16th, August 2025 GMT
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাংক থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান। তাৎক্ষণিক তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি রাকিবুল বলেন, জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পাই ‘ই’ ব্লকের ১৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর প্লটের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির পানির ট্যাংকে চারজন প্রবেশ করার পর আর বের হননি। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পানির ট্যাংকের ভেতরে তিনজন মারা গেছেন এবং একজন অসুস্থ অবস্থায় আছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও খুঁটি খোলার জন্য তাঁরা সেখানে নেমেছিলেন। এই ভবনের একতলার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দোতলার কাজ শুরু হবে।
ওসি রাকিবুল আরও বলেন, মারা যাওয়া শ্রমিকদের নাম–ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
পুতিনের জন্য কেন হাঁটু গেড়ে লালগালিচা বিছালেন মার্কিন সেনারা, কী বলছেন ইউক্রেনের মানুষ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশাল আয়োজন করে সাড়ম্বরে স্বাগত জানালেন। অন্য কোনো বিশ্বনেতাকে এমনভাবে অভ্যর্থনা জানাননি ট্রাম্প। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি বৈঠক করলেন। আর শুরু থেকেই দুজনের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের প্রকাশ দেখা গেছে।
নিজেকে ‘চুক্তির কারিগর’ বলতে পছন্দ করেন ট্রাম্প। আলাস্কার এক বিমানঘাঁটিতে তিনি পুতিনের জন্য লালগালিচা বিছিয়ে দিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবারই প্রথম পশ্চিমা মাটিতে পা রাখলেন পুতিন।
ট্রাম্প বিমানঘাঁটির টারম্যাকে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে তাঁর ‘বন্ধু’ পুতিনের অপেক্ষা করলেন। পুতিন এগিয়ে আসতেই ট্রাম্প হাততালি দিতে থাকলেন। এরপর উষ্ণ করমর্দন ও হাসিমুখে একে অপরকে স্বাগত জানালেন।
তবে যে দেশের মানুষ ট্রাম্পের কাছ থেকে শান্তির আশা করছিলেন, সেই ইউক্রেন থেকে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠকের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পুতিনের প্রেসিডেনশিয়াল বিমান থেকে নামার সিঁড়ির নিচে মার্কিন সেনারা হাঁটু গেড়ে বসে লালগালিচা ঠিক করছেন।
ইউক্রেনের অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার সাবেক প্রধান মুস্তাফা নায়েম ছবিটি শেয়ার করে ব্যঙ্গ করে লিখলেন—‘মেক নিইলিং গ্রেট অ্যাগেইন’ (হাঁটু গেড়ে বসাকে আবার মহৎ করো)।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক
ট্রাম্প–পুতিনের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি। তবে তাঁরা কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং পুরোনো বন্ধুত্ব আবারও ঝালিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
তিন ঘণ্টা শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প ও পুতিন শুধু উষ্ণ মন্তব্য করলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নিলেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি কিনা মিডিয়া পছন্দ করেন, তাঁর ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘খুব অল্প কিছু বিষয় রয়ে গেছে, যার মধ্যে একটি রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনই সে বিষয়ে বিস্তারিত বলব না।’
ট্রাম্প পরে ফক্স নিউজকে বলেন, এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দায়িত্ব। তাঁকে এই আলাস্কা বৈঠককে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার তিন বছরের আক্রমণ শেষ করার মতো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষায়, ‘এখন এটা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দায়িত্ব। ইউরোপীয় দেশগুলোকেও কিছুটা ভূমিকা রাখতে হবে। তবে মূলত জেলেনস্কির হাতেই বিষয়টা।’
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমি এই বৈঠককে দশের মধ্যে দশ দিয়েই মূল্যায়ন করব।’