সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার প্রথমে পাঁচটি ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেই কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন এই কমিশনের সভাপতি। আর সহ–সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় আট মাস আলোচনা করে গত অক্টোবরে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশন গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিকল্প দুটি সুপারিশ জমা দেয়। তার ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে দায়দায়িত্ব সরকারের: বিএনপি

বিএনপি বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে গিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে তার সব দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে। সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে তখন সেই সিদ্ধান্ত মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভার সিদ্ধান্ত জানাতে দলের স্থায়ী কমিটি আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছরব্যাপী আলোচনা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সকলে অঙ্গীকারবদ্ধ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বিভ্রান্তিকর। ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার শামিল। তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চান, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত বিষয়ের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সেই ক্ষেত্রে সব দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।

আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের শেষ চেষ্টা, বিএনপি–জামায়াত–এনসিপি কী ভাবছে৫ ঘণ্টা আগে

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সরকারের প্রতি এ বিষয়ে ‘সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের’ আহ্বান জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিতি ছিলেন।

আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় সরকার ১০ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ, জাতীয় নির্বাচন, গণভোট, সংসদের উচ্চকক্ষসহ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে যা যা আছে
  • প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
  • প্রধান উপদেষ্টা নিজের সই করা জুলাই জাতীয় সনদ লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • জাতীয় নির্বাচন, গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
  • বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, পরে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ
  • গণভোটে ৪টির বেশি প্রশ্ন রাখার চিন্তা সরকারের
  • জুলাই সনদের বাইরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে দায়দায়িত্ব সরকারের: বিএনপি
  • সনদের বিষয়ে সুরাহা না হওয়াটাই নির্বাচনের আগে একমাত্র সংকট
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের শেষ চেষ্টা, বিএনপি–জামায়াত–এনসিপি কী ভাবছে