বন্দরে যুবলীগ কর্মী মফিজ গ্রেপ্তার
Published: 16th, August 2025 GMT
বন্দরে অপারেশন ডেবিল হান্ট অভিযানে অটোরিক্সার গ্যারেজ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ২৩ টি অটোরিক্সা ও চার্জার লুট করার মামলায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ও মাদক ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃত মফিজ উদ্দিন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকার মৃত জিয়াবল ভূইয়া মিয়ার ছেলে ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৭ং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী ।
গ্রেপ্তারকৃতকে শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১৪(৮)২৪ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ ইং সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর শাহীমসজিদস্থ বুলবুলের অটোরিক্সার গ্যারেজে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় উল্লেখিত এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
ওই সময় হামলাকারিরা দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ২৩টি অটোরিক্সা ও ২৩টি চার্জারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে,গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতা মফিজ উদ্দিন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বুরুন্দীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
ধৃত যুবলীগ নেতার মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের পর থেকে যুবলীগ নেতা মফিজ উদ্দিন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কিছু দিন গা ঢাকা দেয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বল গ ন র য়ণগঞ জ য বল গ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ