পুঁজিবাজারে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস পিএলসির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত দেশের শিল্পাঞ্চলখ্যাত ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল 'ম্যারিয়ট' আগামী বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ম্যারিয়ট হোটেলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বেস্ট হোল্ডিংস পিএলসির কোম্পানি সচিব মো.

আবুল কালাম আজাদ।

তিনি জানান, হোটেলটি মাওনা হবিরবাড়িতে প্রায় ৪.৪৭ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে এবং এতে ২২৮টি কক্ষ থাকবে। হোটেল অতিথিদের আধুনিক সুবিধা দেবে—উচ্চ-গতির ইন্টারনেট, স্মার্ট ওয়ার্ক স্টেশন, বড় মিটিং হল, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ, রেস্তোরাঁ, ব্যবসা কেন্দ্র, বিনোদন স্থান, স্পা ও ফিটনেস সুবিধাসহ।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, “হোটেলটি শুধু থাকার ব্যবস্থা নয়, শিল্পাঞ্চলগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। এক্সপো, বাণিজ্য সম্মেলন ও শিল্পসংশ্লিষ্ট সভার আয়োজনও হোটেলের মাধ্যমে করা হবে। এটি ঢাকার বাইরে শিল্প ও আতিথেয়তা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

হোটেল পরিচালনা করবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। হোটেলের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাসহ বাকি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, শপিংমল, সিনেপ্লেক্স ও ফুডকোর্টের কাজও চলমান। হোটেলের সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০০ জনকে কর্মসংস্থান দেওয়া হবে।

এছাড়া, বেস্ট হোল্ডিংসের মালিকানায় ৫৩ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন লাক্সারি রিসোর্ট ‘লাক্সারি কালেকশনস এন্ড ভিলাস’-এ ১৪টি স্টুডিও ভিলা, ৪টি প্রেসিডেন্সিয়াল ভিলা, ২টি লাক্সারি বাংলো, ১টি ক্লাব হাউজ, রেস্টিং প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্টসহ অত্যাধুনিক সুবিধা থাকবে। রিসোর্টে ৪০০-এর বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

এদিকে, বেস্ট হোল্ডিংসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইকনএক্স সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালিত দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুল চেইন হেইলিবেরি ভালুকা ২০২৪ সালের আগস্ট সেশনে ক্লাস শুরু করেছে। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে নবম গ্রেড পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে এবং পরবর্তী সময়ে ১২তম গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ