গাইবান্ধায় জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
Published: 17th, August 2025 GMT
গাইবান্ধায় নজরুল ইসলাম নজির (৩২) নামে এক জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের একটি বিলের পাশের ফাঁকা মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহত নজরুল শীতলগ্রাম কানিপাড়ার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় বিকাশ ব্যবসায়ী এবং জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাকাই ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানান, আজ সকালে স্থানীয় লোকজন বিলের ধারে ফাঁকা জমিতে এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখতে পান। তারা কাছে গিয়ে দেখেন গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলিশকে খবর দেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জহিরুলের
জয়পুরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এলাকাবাসী ধারণা, সম্প্রতি যৌথ বাহীনির অভিযানে গোবিন্দগঞ্জে কয়েকজন হ্যাকার ধরা পড়েন। এই হ্যাকারদের ধারণা, নজরুলের দোকান থেকে বিকাশ, নগদে টাকা লেনদেনের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তথ্য পেয়েছে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে নজরুলকে গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, নজরুল শীতল গ্রামের বাজারে মুদি দোকানের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতেন। তিনি মাঝেমধ্যে দোকানেই রাত কাটাতেন। হ্যাকাররা প্রায়ই তার দোকান থেকে টাকা লেনদেন করতে আসতেন। নজরুল হ্যাকারদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে টাকা লেনদেন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণেই নজরুলকে তারা হত্যা করেছে।
গাইবান্ধা জামায়াতে ইসলামীর সহ-সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থার কারণে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতেও ভয় করবে। আমাদের নেতারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং দ্রুতই মামলা করা হবে। আমরা আমাদের কর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।”
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “বিকাশ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র গল ক ট হত য ক ইসল ম নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
১৫ আগস্ট উপলক্ষে রাজধানীতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ প্রধান কার্যালয় ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের অবস্থান।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার কোনো চেষ্টা সহ্য করা হবে না। যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই দিনে কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো বা উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজর রাখছে ডিএমপির সাইবার ইউনিট।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসক দেখিয়ে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় বউ-শাশুড়ি আহত
এএসআই’র বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ
এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও (ডিবি) মাঠে কাজ করছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট)। সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তি বা যানবাহনকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, কোনো ধরনের জমায়েত বা মিছিল থেকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। সার্বিকভাবে, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ