কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

মামলার আসামিরা হলেন- কবির হোসেনের ছেলে মো. আরিফ (২০) এবং সমাজ সর্দার রফিক আলম।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা জানান, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে তার কিশোরী বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। গত ১১ আগস্ট রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আরিফ ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে ধর্ষণ করেন। চেঁচামেচিতে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান এবং আরিফকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে নিজের জিম্মায় নেন।

আরো পড়ুন:

চকরিয়ায় হত্যা মামলার আসামি গুলিতে নিহত

দুই সহযোগীসহ অনিন্দ্যের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‍“পরদিন সকালে রফিক আলম জানান, আরিফ পালিয়ে গেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি সঠিক বিচার চাই।”

অভিযুক্ত আরিফ টমটম চালক বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, “দুই পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। ভুক্তভোগীর পরিবার পরে তা মানেনি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়ানো হয়নি।”

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ