কনসার্ট বাতিল করায় আর্টসেলের কাছে ১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
Published: 17th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১৫ আগস্টে অনুষ্ঠিত ‘৩৬ জুলাই মুক্তির উৎসবে’ পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ডদল আর্টসেলের। কিন্তু হঠাৎ আগের রাতে (১৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা পোস্ট করে কনসার্ট বাতিলের কথা জানায়।
এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আয়োজক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন আয়োজকেরা।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ২টায় আর্টসেলের কাছে ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত চেয়ে একদিনের সময় দিয়েছেন কনসার্টের প্রধান আয়োজক ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
আরো পড়ুন:
কমিটিতে পদ দিতে রাবি ছাত্রদলের তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
নবীনদের বরণ করে নিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “কালচারাল ফ্যাসিস্ট Artcell, Lincoln Artcell, আজকের মধ্যে আপনারা ডিসিশন জানাবেন, ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত পাঠাবেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মেনশন করে ক্ষমা চাইবেন। মোট ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ তালিকা দেওয়া হয়েছে। এটা না দিলে কোন কোন আইনে মামলা হবে সেটার তালিকা আমরা প্রস্তুত করছি। আগামীর কানাডা সফর বাতিলের আওয়াজ তুলবো আমরা।”
তিনি আরো লিখেছেন, “তাদের ম্যানেজারের সাথে কথা বললে সে জানায়, এটাকে সে মিডিয়ার সামনে চাঁদাবাজি হিসেবে আনবে। আমি এখানে ওপেন ডিকলারেশন দিচ্ছি- নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ মেইনটেইন করে শেষ মূহুর্তে কনসার্ট ক্যান্সেল করছো। তোমাদের টাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে কুকুরগুলোকে খাওয়াবো। আর এটা চাঁদাবাজি হিসেবে সামনে আনলে আনো। তোমার কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সময় মাত্র ১২ঘণ্টা।”
এ বিষয়ে আয়োজক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমরা সমস্ত আয়োজন, মঞ্চ, ডেকোরেশন প্রস্তুত করার পর হঠাৎ আর্টসেল ফেসবুকে ঘোষণা দেয় অনিবার্য কারণে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসার্টে আসছে না। এতে আমরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ই-মেইলের রিপ্লাই দিয়েছে, এর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তাদের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগসাজশ আছে। এছাড়া আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানি মামলা করব।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ