শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ৬৫ কিলোমিটার পদযাত্রা ভারতের এক স্কুলের ছাত্রীদের
Published: 19th, September 2025 GMT
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের পাক্কি কেসাং জেলা। জেলা শহর থেকে নিয়াংনো নামের গ্রামটির দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছে অন্তত ৯০ জন স্কুলছাত্রী। উদ্দেশ্য একটাই—তাদের স্কুলে শিক্ষকের যে তীব্র সংকট চলছে, তার প্রতিবাদ জানানো।
ওই স্কুলের নাম কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই পদযাত্রার আয়োজন করে। তাতে যোগ দেয় অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও। গত রোববার নিয়াংনো গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ের পোশাকেই যাত্রা শুরু করে তারা। এ সময় অনেকের হাতে ছিল ব্যানার, মুখে স্লোগান।
দীর্ঘ এই যাত্রা অনেক পরিশ্রমের জেনেও অন্য কোনো উপায় ছিল না—এমন দাবি শিক্ষার্থীদের। কারণ, বারবার আবেদন করার পরও তাদের ভূগোল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। পদযাত্রায় একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয় শুধু একটি ভবন ছাড়া আর কিছুই নয়।’
রোববার শিক্ষার্থীদের এই পদযাত্রা শুরুর পর দিন গড়িয়ে রাত আসে। তা–ও থামেনি তারা। রাতভর হেঁটে সোমবার সকালে পৌঁছায় জেলা শহর লেমিতে। সেখানেও চলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্লোগান। তারপরই আসে সফলতা। জেলার জ্যেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, দাবি অনুযায়ী বিদ্যালয়টিতে ভূগোল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে রাজি হয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১১–১২ শিক্ষাবর্ষে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছে ‘সেই দোনি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামের একটি এনজিও। তাদের লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া এলাকা ও সম্প্রদায়ের মেয়েদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছানো। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯০ জনের বেশি শিক্ষার্থী, অন্তত ১৩ জন শিক্ষক ও একজন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ভূগোল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষকসংকট রয়েছে সত্যি, তবে অন্যান্য বিষয়ে যথেষ্ট শিক্ষক রয়েছেন। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার আগে সব বিষয়ের পাঠ্যসূচি এরই মধ্যে শেষ করেছেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চুলচেরা বিশ্লেষণ বিপিএলের দল নির্বাচন, ১০ কোটির ব্যাংক গ্যারান্টির অপেক্ষা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘণ্টা তাহলে বেজেই গেল। বিপিএলের দল নির্বাচন। সাম্ভাব্য শুরু ও শেষের তারিখ। প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
পাঁচ দল নিয়ে হবে বিপিএলের আগামী আসর। গুলশানে নাভানা টাওয়ারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানাও চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস রংপুর রাইডার্সের মালিকানা পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রংপুরকে তারাই প্রতিনিধিত্ব করছে। আগামী পাঁচ বছরও তারা থাকবে।
ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস পেয়েছে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা। প্রত্যেককেই ফ্রাঞ্চাইজি দেয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য।
বিপিএলে ফ্রাঞ্চাইজি নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তিনটি বিষয়ে খেয়াল করেছে,
১) আর্থিক সামর্থ্য
২) ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মোটিভেশন
৩) অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেটে সংশ্লিষ্টতা
এজন্য কাজ করেছে অডিট ফার্ম, ল এন্ড ফোর্সমেন্ট সংস্থা, বিসিবির নিজস্ব সোর্স।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতিখার রহমান মিঠু সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘১১টা টিম ছিল। সেখান থেকে তিনটি দল প্রথম সিলেকশনে বাদ পড়ে। পরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সর্বসম্মতিমতে এই পাঁচটি টিম চূড়ান্ত করতে পেরেছি।’’
পাঁচ দল নিয়ে বিপিএল আয়োজনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়বে বলেই আশাবাদ মিঠুর, ‘‘পাঁচ দলে বরং প্রতিযোগিতা বাড়বে। একেক দলে ১১ জন করে প্লেয়ার থাকবে। আমরা চাই দেশের সকলের সুযোগ দেওয়ার। যারা কনট্রাকটিভ হবে, তারা যাতে টাকা সময়মতো পায়। আমাদের বিপিএল যে এতটা তলানীতে চলে গেছে, সেটাই বড় কারণ।’’
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। আজ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি না পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাদও হতে পারে।
বিপিএলের ১২তম আসর ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির। ফাইনাল হতে পারে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি। আগেই নির্ধারণ করা ১৭ নভেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।
রংপুর রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ঢাকা ক্যাপিটালস নামে বিপিএল খেলবে। এছাড়া চিটাগং বুলস, রাজশাহী স্টারস ও সিলেট ইউনাইটেড নামে মাঠে নামতে পারে দলগুলো।
ঢাকা/ইয়াসিন