চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে চাকসু নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

আরো পড়ুন:

চাকসু: হল ও হোস্টেল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ২৪ প্রার্থী জয়ী

ডাকসু নির্বাচনে ১১ অনিয়মের অভিযোগ ছাত্রদলের 

ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ২৩ জন, জিএস পদে ২১ জন, এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এছাড়া খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, সহ-খেলাধুলা ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৬ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা পদে ১৬ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৮ জন, সহ-দফতর সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ-ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, সহ-যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে ৮০ জনসহ মোট ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এদিকে স্বাক্ষরের ভুল, তথ্যের অসংগতি ও অন্যান্য কারণে চাকসুর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে ১৯ জনকে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

অন্যদিকে, হল ও হোস্টেল সংসদে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৫০২ জন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৫০২ জন। এতে প্রাথমিক তালিকায় বাদ পড়েনি কোনো প্রার্থী।

এ বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির বলেন, “আজ (সোমবার) প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যের ভুলের জন্য চাকসুতে ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। কেউ তথ্য ঘাটতি রেখেছেন, কেউ স্বাক্ষর করতে ভুলেছেন, আবার কারও অন্য সমস্যার কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারবেন।”

তিনি বলেন, “প্রয়োজনে সংশোধন করে পুনরায় প্রার্থিতা বৈধ করার সুযোগও রাখা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১১ জন

এছাড়াও পড়ুন:

ডায়াবেটিসে ভোগা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া কঠিন হলো

ডায়াবেটিসে ভুগছেন যাঁরা, বসবাসের জন্য তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠল। এমন নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে তাঁদের ভিসার আবেদন বাতিল করা যাবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই নির্দেশনা গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দূতাবাস ও কনস্যুলার কর্মকর্তাদের কাছে এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছে। তাতে যুক্তি দেখানো হয়েছে, এ ধরনের ব্যক্তিরা তাঁদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা বয়সের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খরচের বোঝা বাড়িয়ে দিতে পারেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ভিসা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় এমন নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে তাঁরা ভিসার আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবেন। এর মধ্যে আছে বেশি বয়স বা এমন কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা, যার জন্য ওই ব্যক্তিরা সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল থাকবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত দিকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেসব স্বাস্থ্যগত অবস্থায় ভিসার আবেদন বাতিল করা যাবে, সে তালিকাটি আরও দীর্ঘ হয়েছে। ভিসা কর্মকর্তাদের আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত অবস্থার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বছর ধরেই সম্ভাব্য অভিবাসীদের স্বাস্থ্যগত তথ্য যাচাই–বাছাই করে আসছে। যেমন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করা ও টিকার ইতিহাস যাচাই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত দিকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেসব স্বাস্থ্যগত অবস্থায় ভিসার আবেদন বাতিল করা যাবে, সে তালিকাটি আরও দীর্ঘ হয়েছে। ভিসা কর্মকর্তাদের আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত অবস্থার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী এক বিতর্কিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অননুমোদিতভাবে বসবাস করা অভিবাসীদের বিতাড়িত করা ও নতুন অভিবাসীদের ঠেকানো। এই অভিযানের অংশ হিসেবে নিয়মিত গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং অভিবাসীর প্রবেশ সীমিত করার মতো পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

আইনি সহায়তাবিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চার্লস হুইলার বলেন, নতুন নির্দেশনায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা প্রায় সব ভিসা আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হলেও খুব সম্ভবত যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করছেন, শুধু তাঁদের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিসা কর্মকর্তাদের অবশ্যই আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাচাই করতে হবে। যেমন হৃদ্‌রোগ, শ্বাসনালির রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, বিপাকজনিত রোগ, স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা এবং মানসিক সমস্যাসহ যেসব স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে লাখ লাখ ডলার মূল্যের সুরক্ষা দিতে হবে, সেগুলো বিবেচনা করতে হবে।

বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। হৃদ্‌রোগও খুব দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি এটি।

নির্দেশনায় আবেদনকারীদের স্থূলতার বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। কারণ, এটি হাঁপানি, নিদ্রাহীনতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। অভিবাসীদের কারও এসব সমস্যা থাকলে তিনি সরকারের জন্য অতিরিক্ত খরচের বোঝা তৈরি করবেন। আর তা মাথায় রেখে ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দেওয়া যেতে পারে।

নির্দেশনায় আবেদনকারীদের স্থূলতার বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। কারণ, এটি হাঁপানি, নিদ্রাহীনতা ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। অভিবাসীদের কারও এসব সমস্যা থাকলে তিনি সরকারের জন্য অতিরিক্ত খরচের বোঝা তৈরি করবেন। আর তা মাথায় রেখে ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দেওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।

আবেদনকারী ব্যক্তি সরকারি সহায়তা ছাড়া নিজেই নিজের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারবেন কি না, সে বিষয়টিও বিবেচনা করতে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে আইনজীবী চার্লস হুইলার বলেছেন, নির্দেশনাটি পররাষ্ট্র দপ্তরের নিজস্ব হ্যান্ডবুক ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যানুয়ালের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হচ্ছে। কারণ সেখানে বলা হয়েছে, ‘এটা হতে পারে’ এমন অনুমানের ভিত্তিতে ভিসা কর্মকর্তারা কোনো আবেদন বাতিল করতে পারেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ