ঢাকাই চলচ্চিত্রের আরও এক নায়ক যোগ দিলেন প্রবাসীদের তালিকায়। এবার দেশ ছাড়লেন চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিমানে বসা কয়েকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দেশ ছাড়ার খবর নিজেই জানিয়েছেন বাপ্পি। যদিও সফরের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেননি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “বন্ধু, কেমন আছো?”
পরদিন মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আমেরিকা পৌঁছে আরও কিছু ছবি প্রকাশ করেন তিনি। সেখানে কালো টি-শার্ট, কালো প্যান্ট ও কালো সানগ্লাসে দেখা যায় তাকে। ওই পোস্টে ক্যাপশনে লিখেছেন, “শহর ঘুরে আনন্দ খোঁজা।”
গণমাধ্যমকে একটি সূত্র জানায়, বাপ্পি চৌধুরী আর দেশে ফিরবেন না। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পেশায় যুক্ত হয়ে জীবন-জীবিকার নতুন পথ খুঁজছেন তিনি।
বাপ্পিকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ‘শত্রু’ সিনেমায়। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। হাতে তেমন কোনো কাজ ছিল না অনেকদিন ধরেই।
২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় বাপ্পির। এক যুগের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ‘জটিল প্রেম’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘এপার ওপার’, ‘সুইটহার্ট’, ‘সুলতানা বিবিয়ানা’সহ বেশ কিছু ছবি।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ