Prothomalo:
2025-09-23@16:35:33 GMT

বিশালতাই এখানে দুঃখের অনুমোদন

Published: 23rd, September 2025 GMT

একটি চারা গাছের ভুল আকুতি

একটি চারা গাছ ফুল ফোটাতে চায়
ফলের অমৃত বিশ্লেষণ হতে চায়
বাতাসের ঘূর্ণিঝড় হতে চায়
আকাশের অসীমতা হতে চায়
ব্যাপ্তিশীল সময়কাল হতে চায়।
একটি চারা গাছের ভুল আকুতি
নিজের অস্তিত্বকেই স্বীকার করে না
ইচ্ছেরা ঝরা পাতায় ভর করে
দিকবিচ্ছিন্ন হয়ে উড়তে থাকে
ঘুমাতে না দেওয়ার স্বপ্ন অর্থহীন হয়
ঘুমন্ত স্বপ্নই হয়ে ওঠে স্বপ্নের চাবিকাঠি
তাকিয়ে থাকাই এখানে দেখা
দেখার তাৎপর্য নিরুত্তাপ জীবনহীন।

হিমালয়ের দুঃখ বিশাল

হিমালয়ের দুঃখ বিশাল
বিশালতাই এখানে দুঃখের অনুমোদন
অসমতাই একাকিত্বের অন্তহীন পীড়ন
নীরব অশ্রুপাতই ভাষা প্রকাশের প্রস্রবণ
স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকাই পথচলার গতি
বিচ্ছিন্ন জীবনই জীবনের বন্ধন, স্পন্দন
ঝড়ঝঞ্ঝার বিক্ষুব্ধ বাতাসই বন্ধুত্বের করমর্দন
তুষারধারাই প্রেয়সীর প্রেমময় আলিঙ্গন
পাথরের চোখেই নির্মিত চোখের বিচিত্রতা
নির্বাক কণ্ঠস্বরই সর্বজনীন কণ্ঠস্বর
মৌনতাই শব্দ প্রকাশের ধর্ম
নিস্তব্ধ রাতকে জড়িয়ে থাকাই আনন্দ
চাঁদের স্নিগ্ধতাই সৃষ্টিশীল জীবনের মুগ্ধতা
স্বপ্ন এখানে আনুভূমিক নয়, উল্লম্বিক।

শূন্যতা, তুমি আর ডেকো না

বহু শূন্যতার দায় নিয়ে পথ চলছি
যুক্তিহীনভাবে বয়ে চলছি
—শূন্যতার ভারী জীবন
পদযুগল মাঝে মাঝে গেঁথে যায় পদের ভেতর
জীবনচাকা বিদীর্ণ হয় চাকার ভেতর
দহনের পথ আরও প্রসারিত হয়
নীরবতার নীরব বর্ষণই পথচলার হাতিয়ার
প্রান্তস্বরের কণ্ঠস্বরই সজীব কণ্ঠস্বর
চোখের তারা বর্ণহীন চাদরে পরিবেষ্টিত
শূন্যতার প্রবল ঝড়ে ঝরা পাতাও—
পাখি হয়ে উড়ে যায়
সময়ের সকল পরিচিতি চলে যায়—
নীল শূন্যতায়
কালের নিঃশব্দ আর্তনাদে বাড়তে থাকে তুষারপাত
কৃষ্ণচূড়ার বর্ণ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়
পৃথিবী যুক্ত হয় অন্য কোনো গ্রহে
জীবনরসায়ন রস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়
চলার পথ চলে যায় অন্য কোনো শপথে
সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ-হিমালয়
বয়ে চলে ঝিরঝির বাতাসের গান
তীর ভাঙা নদীর অন্তহীন কলতান।

বক্র সময়, ঝুলন্ত সময়

যে সময় শেকড় থেকে বেড়ে ওঠে না
ডালপালা নিয়ে কাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়
শূন্যে উড়ে ঘুরতে থাকে
যেখানে কোনো কক্ষপথ থাকে না
শুধু ঘূর্ণাবর্তের খেলা চলে
হারানো স্মৃতির ফুল, মত্ত ফল উপহার দেয়
আদির সাথে অন্তের শর্ত এখানে ম্লান
আলোর ভুবনে আলো হয় ম্রিয়মাণ।

রেলচালক এখন নাবালক

বগিগুলো রেলের ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত হচ্ছে না
সমন্বয়হীনতা আর বিচ্ছিন্নবোধ কাজ করছে
সবগুলোই সরাসরি ইঞ্জিনের সাথে থাকতে চায়
কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ
যৌক্তিক বিশ্লেষণ এখানে গ্রহণযোগ্য নয়
শেকড়ের সাথে এদের সম্পর্ক শিথিল
প্রশ্ন শুধু প্রশ্নের মাঝেই লীন
বিজ্ঞতার সকল উত্তর এখানে নির্বাসিত
মস্তিষ্ক এখানে নিরুত্তাপ, মূল্যহীন
শৃঙ্খলতার সকল শীলন এখানে
হাত, পা ও কণ্ঠের মাঝে সীমাবদ্ধ
ইচ্ছের বাতাস এখানে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন
অর্থহীন নিরর্থক প্রলাপ
পাতার মর্মর শব্দ মাছির ভনভন শব্দ
শেষ পর্যন্ত শুধু ইঞ্জিন নিয়েই চালক
গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলছে
বালেগ হওয়ার সকল প্রকরণ
ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে
তাই রেলচালক এখন নাবালক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ন যত র সকল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশালতাই এখানে দুঃখের অনুমোদন

একটি চারা গাছের ভুল আকুতি

একটি চারা গাছ ফুল ফোটাতে চায়
ফলের অমৃত বিশ্লেষণ হতে চায়
বাতাসের ঘূর্ণিঝড় হতে চায়
আকাশের অসীমতা হতে চায়
ব্যাপ্তিশীল সময়কাল হতে চায়।
একটি চারা গাছের ভুল আকুতি
নিজের অস্তিত্বকেই স্বীকার করে না
ইচ্ছেরা ঝরা পাতায় ভর করে
দিকবিচ্ছিন্ন হয়ে উড়তে থাকে
ঘুমাতে না দেওয়ার স্বপ্ন অর্থহীন হয়
ঘুমন্ত স্বপ্নই হয়ে ওঠে স্বপ্নের চাবিকাঠি
তাকিয়ে থাকাই এখানে দেখা
দেখার তাৎপর্য নিরুত্তাপ জীবনহীন।

হিমালয়ের দুঃখ বিশাল

হিমালয়ের দুঃখ বিশাল
বিশালতাই এখানে দুঃখের অনুমোদন
অসমতাই একাকিত্বের অন্তহীন পীড়ন
নীরব অশ্রুপাতই ভাষা প্রকাশের প্রস্রবণ
স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকাই পথচলার গতি
বিচ্ছিন্ন জীবনই জীবনের বন্ধন, স্পন্দন
ঝড়ঝঞ্ঝার বিক্ষুব্ধ বাতাসই বন্ধুত্বের করমর্দন
তুষারধারাই প্রেয়সীর প্রেমময় আলিঙ্গন
পাথরের চোখেই নির্মিত চোখের বিচিত্রতা
নির্বাক কণ্ঠস্বরই সর্বজনীন কণ্ঠস্বর
মৌনতাই শব্দ প্রকাশের ধর্ম
নিস্তব্ধ রাতকে জড়িয়ে থাকাই আনন্দ
চাঁদের স্নিগ্ধতাই সৃষ্টিশীল জীবনের মুগ্ধতা
স্বপ্ন এখানে আনুভূমিক নয়, উল্লম্বিক।

শূন্যতা, তুমি আর ডেকো না

বহু শূন্যতার দায় নিয়ে পথ চলছি
যুক্তিহীনভাবে বয়ে চলছি
—শূন্যতার ভারী জীবন
পদযুগল মাঝে মাঝে গেঁথে যায় পদের ভেতর
জীবনচাকা বিদীর্ণ হয় চাকার ভেতর
দহনের পথ আরও প্রসারিত হয়
নীরবতার নীরব বর্ষণই পথচলার হাতিয়ার
প্রান্তস্বরের কণ্ঠস্বরই সজীব কণ্ঠস্বর
চোখের তারা বর্ণহীন চাদরে পরিবেষ্টিত
শূন্যতার প্রবল ঝড়ে ঝরা পাতাও—
পাখি হয়ে উড়ে যায়
সময়ের সকল পরিচিতি চলে যায়—
নীল শূন্যতায়
কালের নিঃশব্দ আর্তনাদে বাড়তে থাকে তুষারপাত
কৃষ্ণচূড়ার বর্ণ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়
পৃথিবী যুক্ত হয় অন্য কোনো গ্রহে
জীবনরসায়ন রস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়
চলার পথ চলে যায় অন্য কোনো শপথে
সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ-হিমালয়
বয়ে চলে ঝিরঝির বাতাসের গান
তীর ভাঙা নদীর অন্তহীন কলতান।

বক্র সময়, ঝুলন্ত সময়

যে সময় শেকড় থেকে বেড়ে ওঠে না
ডালপালা নিয়ে কাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়
শূন্যে উড়ে ঘুরতে থাকে
যেখানে কোনো কক্ষপথ থাকে না
শুধু ঘূর্ণাবর্তের খেলা চলে
হারানো স্মৃতির ফুল, মত্ত ফল উপহার দেয়
আদির সাথে অন্তের শর্ত এখানে ম্লান
আলোর ভুবনে আলো হয় ম্রিয়মাণ।

রেলচালক এখন নাবালক

বগিগুলো রেলের ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত হচ্ছে না
সমন্বয়হীনতা আর বিচ্ছিন্নবোধ কাজ করছে
সবগুলোই সরাসরি ইঞ্জিনের সাথে থাকতে চায়
কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ
যৌক্তিক বিশ্লেষণ এখানে গ্রহণযোগ্য নয়
শেকড়ের সাথে এদের সম্পর্ক শিথিল
প্রশ্ন শুধু প্রশ্নের মাঝেই লীন
বিজ্ঞতার সকল উত্তর এখানে নির্বাসিত
মস্তিষ্ক এখানে নিরুত্তাপ, মূল্যহীন
শৃঙ্খলতার সকল শীলন এখানে
হাত, পা ও কণ্ঠের মাঝে সীমাবদ্ধ
ইচ্ছের বাতাস এখানে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন
অর্থহীন নিরর্থক প্রলাপ
পাতার মর্মর শব্দ মাছির ভনভন শব্দ
শেষ পর্যন্ত শুধু ইঞ্জিন নিয়েই চালক
গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলছে
বালেগ হওয়ার সকল প্রকরণ
ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে
তাই রেলচালক এখন নাবালক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ