বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভারতের নীতি, ‘সম্মান করি, ভয় পাই না’
Published: 23rd, September 2025 GMT
দুবাইয়ের যানজটে আটকে ভারতের ব্যাটিং কোচ রায়ান টেন ডেসকাট সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্রায় মিনিট বিশেক পর। এরপর শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার কোথাও সেভাবে নেই বাংলাদেশ। ভারতের ক্রিকেটারদের নিয়ে কৌতূহল তাঁদের, এমনকি প্রশ্ন হলো পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও।
বাংলাদেশ ম্যাচটা নিয়ে কি তাহলে আগ্রহই নেই? এই প্রশ্নের উত্তর মেলানো কঠিন। তবে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নে টেন ডাসকাট জানালেন, সবার ক্ষেত্রে যে নীতি, সেটি নিয়েই তাঁরা মাঠে নামবেন বাংলাদেশের বিপক্ষেও।
আরও পড়ুনক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত আম্পায়ার ডিকি বার্ড আর নেই৪ ঘণ্টা আগেডেসকাট বলেন, ‘আমাদের নীতি হচ্ছে সবাইকে সম্মান করো, কাউকে ভয় পেয়ো না। এটা আসলে আমাদের প্রক্রিয়া ও কী অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটির বিষয়। আমাদের সেরাটা খেলার দিকেই মনোযোগ থাকবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা পুরোটা ভালো খেলতে পারিনি। ওই পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নই।’
ভারতের ব্যাটিং কোচ রায়ান টেন ডেসকাট.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ