৩ দফা দাবিতে নাসিককে নাগরিক আন্দোলনের স্মারকলিপি
Published: 24th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লøাহর সাথে দেখা করে তিনটি দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
দাবি গুলো হলো, কদম রসুল সেতুর কাজ চলমান রেখে পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তন, নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেলের সংযোগ স্থাপন ও যথাযথ আলোচনার পূর্ব পর্যন্ত শহরের খানপুর এলাকায় কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের কাজ বন্ধ করা।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড.
সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লøাহর প্রতিনিধিদের অবহিত করেন সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে তিনটি বিষয়েই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যথাযথ মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি অচিরেই এর সুফল পাওয়া যাবে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বিগত সরকারের শাসনামলে এ সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ সব প্রকল্প বিষয়ে সে সময় অংশিজনদের জানানো বা তাদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয় নাই।
সরকার পরিবর্তনের পর এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের মাঝে আলোচ্য পাঁচটি প্রকল্প তুলে ধরলে আমরা তা জানতে পারি। আমরা দেখলাম এ সব প্রকল্পে অস্বচ্ছতা এবং যথাযথ পরিকল্পনা ও সমীক্ষার অভাব বিদ্যমান।
আমরা জানি বিগত সরকার নিজেদের লোকদের লুটপাটের সুযোগ তৈরির জন্য উন্নয়নের নামে এমনি অনেক প্রকল্প, মেগা-প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা অপ্রয়োজনীয়, অপরিকল্পিত এবং যা জনকল্যাণের বদলে জনদুর্ভোগ তৈরি করবে। নারায়ণগঞ্জে চলমান প্রকল্পও এ সব ত্রুটির বাইরে নয় বলে আমরা মনে করি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মাণাধিন কদম রসুলসেতুটি বর্তমান নকশায় পশ্চিমাংশের মুখটি নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে এসে নেমেছে। যা বাস্তব সম্মত নয়। নারায়ণগঞ্জ কলেজ দশ হাজার শিক্ষার্থীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাশে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলÑ যেখানে রয়েছে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী।
এর পাশে রয়েছে দিগুবাবু বাজারে প্রদেশের মুখ, সাথে রয়েছে বৃহত্তর কালীর বাজার। দেশের বৃহত্তর রং সুতার বাজার টানবাজারে প্রবেশের এইটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক- সর্বপরি এইটি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত যেমনি ভয়াবহ যানজট থাকে, আবার বিভিন্ন সময় এখানে রেললাইনের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
এমনি বাস্তবতায় আমরা চাই কদম রসুল সেতুর কাজ চলমান রেখে এর পশ্চিমাংশের র্যাম্পটি পরিবর্তন করা হোক। মেট্রোরেল আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এই রেল আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর করেছে। ১৮৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জে থেকে এই পূর্ববঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হয়।
বাণিজ্য, প্রশাসন ও বিবিধ গুরুত্ব বিবেচনায় সে সময় নারায়ণগঞ্জ-মযমনসিংহ রেল যোগাযোগ চালু হয়। সে সময়ের প্রাচ্যের ডাণ্ডি স্বধীনতা উত্তর সময়ে রাজনৈতিক কারণে অবহেলার স্বীকার হলেও দেশের অর্থনীতিতে এখনো পর্যন্ত জেলাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশে বৈদেশিক মূদ্রা আনায়নে জেলা হিসেবে প্রধানতম ভূমিকা রেখে চলেছে নারায়ণগঞ্জ।
দেশের প্রতিটি জেলার মানুষ জীবীকার প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জে আসেন। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এখনো নারায়ণগঞ্জ একটি বি-শ্রেণিভূক্ত জেলা। আমরা আপনার কাছে দাবি জানাচ্ছি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জের মেট্রোরেল সংযোগের জন্য আপনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মেট্রোরেলের দাবি আজকে নারায়ণগঞ্জবাসীর জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।
শহরের খানপুরে কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং এইটি অপ্রয়োজনীয়। এইটি এটকি অস্বচ্ছ প্রকল্প। বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের অংশিজন বা নাগরিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ পাশকাটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প করতে যাচ্ছে।
জনবহুল এলাকায় এমনি প্রকল্প অন্য দেশেও বিরল। অন্যদিকে জেলার কাছাকাছি এলাকা পানগাঁওয়ে বুড়িগঙ্গার পাশে ৫৫ হাজার বর্গমিটার কন্টেইনার ইয়ার্ডে সাড়ে তিন হাজার টিইইউ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কন্টেইনার পোর্ট রয়েছে। যার ৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় না।
খানপুরে কন্টেইনার পোর্ট তৈরি হলে এর জন্যে ফ্লাই ওভার নির্মাণের যে পরিকল্পনা রয়েছে তাও অস্বচ্ছ। এই প্রকল্পটি কোন রকম সমীক্ষা না করে শুধু মাত্র অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
যথাযথ আলোচনার পূর্ব পর্যন্ত এই প্রকল্পটি বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ট স ম রকল প গ রহণ কর ব যবস থ প রকল প র জন য কল প ত চলম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদ কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম এলাকা মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের স্থায়ী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের মহাসচিব আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুল। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
এ-সময় অনুষ্ঠানে মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে একটি প্রেরণাদায়ক বক্তব্য প্রদান করেন মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের মহাসচিব আবু জাফর আহমেদ বাবুল। পরে মিশনপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মুফতী মোহাম্মদ জামির হোসেন বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।
মিশনপাড়া এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে এ সংগঠনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কার্যালয় বিনির্মানে বিশেষ অবদান রাখা বিশিষ্ট সমাজ সেবক জহির আহমেদ সোহেল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ রেজা রিপন, মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আল-আমিন, যুগ্ম মহাসচিব জাহিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সচিব আতিকা খানম শিউলী, সহ-সাংগঠনিক সচিব মোঃ সায়েম কবীর, অর্থ সচিব মোঃ আরিফ দিপু, দপ্তর সচিব মোঃ জামাল উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সচিব মোসাদ্দেক আহমেদ, প্ৰচার বিষয়ক সচিব প্রদীপ কুমার ধর চন্দন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব অহিদুর রহমান আরিফ, মহিলা বিষয়ক সচিব শাহিনা ইসলাম মুক্তি, নির্বাহী সদস্য কাজী আব্দুস সাত্তার, নাসিম আল জাহিদ, আব্দুল হাই মিলন, তানসেন আহমেদ, কাজী রাসেদুল ইসলাম দিপু, ফজলুল হক, খাজা মহিউদ্দিন, কামরুল হাসান চৌধুরী আশিক, মোঃ শরিফুল ইসলাম আরফান, আসাদুজ্জামান প্যারিস ও এড. রফিক আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।