গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আট ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চাপাইর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যবসায়ীর নাম দুলাল পাল। তিনি কালিয়াকৈর বাজারের ‘গ্রামীণ জুয়েলার্স’-এর মালিক। বর্তমানে তিনি কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন দুলাল পাল। রাত পৌনে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের চাপাইর ব্রিজের উত্তর পাশে পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর গতিরোধ করে। এ সময় তাঁর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার লুটের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। তখন ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আট ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। দুলাল পালের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, সোনা ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ