প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “প্রবাসী ভোটের ব্যবস্থা আমরা শুধু শুরু করেছি। ধীরে ধীরে প্রবাসীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আরো পড়ুন:

প্রবাসীদের ভোটের অ্যাপ উদ্বোধন নভেম্বরে

কারাগারে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে ইসিকে চিঠি

সম্প্রতি কানাডা সফরে গিয়ে প্রবাসী ভোটের সিস্টেমের অনেক দিক বুঝতে পেরেছি জানিয়ে তিনি বলেন,“প্রবাসীদের মধ্যে আমাদের কাজ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তাই তাদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে কাজ করতে হবে। প্রবাসী ভোটের ব্যবস্থা আমরা শুধু শুরু করেছি, ধীরে ধীরে তা পুরোপুরি সফল করব।”

সিইসি আরো বলেন,“আমরা আমাদের কর্মযজ্ঞের কথা জানিয়েছি, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। আমাদের উপস্থিতিতে তারা উচ্চস্তরের আস্থা ব্যক্ত করেছে। শরিক হয়ে ধাপে ধাপে সিস্টেম উন্নয়ন হবে। আইটি সাপোর্ট ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।”

মিডল ইস্টে প্রবাসীদের ভোট বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের একত্র করা কঠিন, সেখানে সরাসরি সচেতনতা সৃষ্টি করা সহজ নয়। তাই প্রথম ধাপে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোতে সফলতা অর্জনের চেষ্টা করব।”

পার্টি নিবন্ধনের বিষয়ে সিইসি বলেন,“এ মাসেই পার্টি নিবন্ধনের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগের কারণে তথ্য সংগ্রহে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, তবে দলগুলোর নাম এখন বলা সম্ভব নয়।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নাগরিক ঐক্যের শাপলা প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “শাপলা প্রতীক নিয়ে এনসিপি আলাপ করেছে, কিন্তু কমিশন নানা দিক বিবেচনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শাপলা প্রতীক দেয়নি। প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমাদের নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।”

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সিইসি বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করার জন্য জোরাল প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের কাজ বিবেকের তাড়নায়, সোজা পথে ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের প্রধান স্টেকহোল্ডার, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে সুন্দরভাবে।”

সিইসি আরো যোগ করেন, “রাজনৈতিক নেতারা তাদের মতামত দিতে পারেন, কিন্তু কমিশনের কাজ থাকবে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স দ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৩

দক্ষিণ লেবাননের একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা আইন এল-হিলওয়ে এলাকায় ‘একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ডে কর্মরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যদের’ লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর

ইসরায়েল বলছে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য এই স্থানটি ব্যবহার করেছিল। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবিকে ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের পক্ষ জোর দিয়ে বলা হয়েছে, লেবাননের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। একটি বিবৃতি দিয়ে হামাস দাবি করেছে, নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি লেবাননের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এটি ইসরায়েলের একটি বর্বর আগ্রাসন।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক বছর পর এটি ছিল লেবাননে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি। 

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে এবং প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। 

ইসরায়েল এসব হামলা লেবাননে চলা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ