আমার ও বর্ষার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ভিত্তিহীন: অনন্ত জলিল
Published: 25th, September 2025 GMT
সম্প্রতি নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন ঢালিউডের তারকা জুটি অনন্ত জলিল ও বর্ষা। সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিত এই জুটির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। তবে তাদের দাবি—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে অনন্ত জলিল বলেন, “আমার ও বর্ষার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের চরিত্র হননের জন্যই এসব করা হচ্ছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি, মানহানির মামলা করব।”
আরো পড়ুন:
কাঁদলেন, কাঁদালেন এফডিসির খোরশেদ
শাহরুখ পুত্রের ওয়েব সিরিজ: সেই ওয়াংখেড়ের মামলা
গত ২০ আগস্ট রাব্বি টেক্সটাইল নামের একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস মিয়া মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন— এ জে আই গ্রুপের এমডি অনন্ত জলিল, তার স্ত্রী আফিয়া নুসরাত বর্ষা, এবি অ্যাপারেলস লিমিটেডের মার্চেন্ডাইজার আকরাম, মুনির ও কামরুল।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট বুকিংয়ের মাধ্যমে রাব্বি টেক্সটাইল থেকে ২০ হাজার গজ কাপড় ডেলিভারি নেন আকরাম, মুনির ও কামরুল। তবে নির্ধারিত এলসি না খুলে বারবার টালবাহানা করতে থাকেন তারা।
এমনকি, অভিযোগকারীর দাবি—এ জে আই গ্রুপের নির্দেশে ডেলিভারির মূল চালান কৌশলে আটকে রাখা হয়, আর তাদের লোকজন অফিসে প্রবেশেও বাধা দেয় ও হুমকি প্রদান করে। ওই কাপড়ের মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা (৮ হাজার ডলার)।
মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই অনন্ত-বর্ষা দম্পতি এটিকে ‘অমূলক’ আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে—এই মামলা শুধু তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তাই তারা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ