হাই হিল পরলে সত্যিই কী আত্মবিশ্বাস বাড়ে?
Published: 26th, September 2025 GMT
ফ্যাশন সচেতন নারীদের কাছে হাই হিল সমাদৃত এক অনুসঙ্গ। পার্টি, অফিস বা উৎসবের সাজে অনেকে হাই হিল বেছে নেন। কেউ কেউ মনে করেন, হাই হিল পরলে নারীকে অনেকে বেশি স্মার্ট আর আত্মবিশ্বাসী মনে হয়।
গবেষকেরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, হাই হিল নারীর জন্য উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক যন্ত্রণার কারণ হতে পারে!
আরো পড়ুন:
পূজায় অতিথি আপ্যায়নে থাকুক ‘ছানার লুচি’
পূজার সাজে ট্রেন্ডি পাঁচ লুক
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী নিয়মিত হাই হিল পরেন তারা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। শুধু তাই না যারা নিয়মিত হাই হিল পরে তারা মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’
গবেষকদের যুক্তি হচ্ছে, হাই হিল পরলে শরীরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, হাঁটার গতি কমে যায় এবং হাঁটু ও মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এই শারীরিক অসুবিধাগুলো থেকেই ধীরে ধীরে নারী মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পোশাক বা সাজসজ্জা যদি আরামদায়ক ও পছন্দনীয় হয়, তবে তা আমাদের মস্তিষ্কে ‘ইতিবাচক উদ্দীপনা’ তৈরি হয় এবং ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে। এটি আত্মবিশ্বাস ও ভালো মেজাজ ধরে রাখতে সহায়তা করে।
হাই হিল পরলে ক্রমাগত কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘যারা কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে অবিরাম চাপ দিতে থাকেন অথবা ভার বহন করেন তাদের অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাতের ঝুঁকি খুবই বেশি থাকে।’’
হাই হিল পরার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে এর ক্ষতির মাত্রা কমানো যেতে পারে।
এক.
দুই. পা নমনীয় থাকলে ক্ষতির মাত্রা কমানো যেতে পারে। এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন। স্ট্রেচিংও করতে পারেন।
তিন. হাই হিল কেনার সময় পায়ের মাপ অনুযায়ী কিনুন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ই হ ল পরল
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ