লক্ষ্মীপুরে জেলা স্টেডিয়ামের পাশে রাশেদা বেগম (৬০) নামে নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রাশেদা বেগম লাহারকান্দি এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী। 

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ইমন হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তিনি ওই নারীকে কীভাবে হত্যা করেছেন, সেই বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো.

রেজাউল হক। রাশেদা বেগম ও ইমন হোসেন সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা।  

আরো পড়ুন:

মহেশখালীর মনির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ আসামির জবানবন্দি  

সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ইমন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে নারিকেল, সুপারি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইমনের স্ত্রীর সঙ্গে রাশেদা বেগমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে রাশেদাকে গলাকেটে হত্যা করেছেন বলে ইমন হোসেন পুলিশের কাছে স্বীকার করছেন।’’ 

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, লক্ষ্মীপুর শহরের জেলা স্টেডিয়ামের পাশে রাশেদা বেগম বাসায় একাই থাকতেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফজরের নামাজের ওজু করতে তিনি ঘর থেকে বের হন। এ সময় একই বাড়ির সেলিমের ছেলে ইমন হোসেনকে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। রাশেদা বেগম তখন নানা বিষয়ে ইমনকে জিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন ইমন। পরে দরজা আটকিয়ে বটি দিয়ে রাশেদা বেগমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। রাশেদের চিৎকারে আশপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে গলাকেটে হত্যা করে ইমন ঘরে লুকিয়ে থাকেন। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ইমনকে গ্রেপ্তার করে।  

ঢাকা/লিটন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত ইমন হ স ন গল ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ