যারা নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার চেষ্টায় আছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে
Published: 28th, September 2025 GMT
যারা নতুন নতুন দাবি সামনে এনে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তারা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি আগামীর দিন, জাতীয়তাবাদের দিন। জাতীয়তাবাদ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
আরো পড়ুন:
বিএনপি নির্বাচিত হলে কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড করা হবে: টুকু
ঐক্যবদ্ধ না থাকলে গুপ্ত স্বৈরাচারের উদ্ভব হতে পারে: তারেক
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “একটি মহল মনে করছে, নির্বাচন হলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এজন্য বিভিন্ন রকম মুখরোচক কথাবার্তা বলে, নতুন নতুন দাবি সামনে এনে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার চেষ্টা করছে। যারা এগুলো করছে, তারা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করছে। এদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে নিজের মতামত এবং অধিকারকে রক্ষা করার জন্য। সেই অধিকারকে রক্ষা করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। এর বাইরে অন্য কোনো মাধ্যম আছে বলে কেউ যদি মনে করে, তাহলে আমি বলব—আসুন নির্বাচনের মাধ্যমে কে কত জনপ্রিয় আমরা সেটা যাচাই করি।”
দুদু বলেন, “বাংলাদেশে সহসাই একটি নির্বাচন হতে হবে। যে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত পার্লামেন্ট হতে হবে। পার্লামেন্টের মধ্যে দিয়ে সরকার তৈরি হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং কেউ যদি মনে করে যে, নির্বাচনের বাইরে জনগণের ওপরে কোনো কিছু চাপিয়ে দিবে, সেটি গ্রহণযোগ্য এবং ঠিক হবে না।”
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়েছি গণতন্ত্রের প্রশ্নে। আমরা সরকারকে টিকিয়ে রেখেছি একটি ভালো নির্বাচনের জন্যে। আমরা সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি—ভালো নির্বাচনের জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে যা যা করা দরকার সেগুলো করবেন। সেটার প্রতি আমাদের সমর্থন আছে”, তিনি বলেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “কেউ যদি মনে করে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ দখল করবে, এগুলো আপনার (শেখ হাসিনা) মধ্যেই থাকবে। বাংলাদেশিরা বীরের জাতি। এদেশের মানুষ কখনো কারো কাছে মাথা নত করেনি। যে জাতি রক্ত দিতে পারে, যে জাতির শিশু-তরুণরা বিদ্রোহী হয়, সে জাতিকে কেউ পদানত করতে পারে—এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “কোনো কোনো কালো শক্তি ভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রকে বিপণ্ন করতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।”
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “১৬ বছর শেখ হাসিনার যে নির্মম ও ভয়ংকর শাসন, সেই শাসনকে এ দেশের মানুষ চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে। হাসিনা এক সময় জবরদস্তি ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে নিয়ে মারাত্মক কথাগুলো বলবে। এটা আমরা ভাবিনি। কী দম্ভ ছিল তার। এই কারণে শেখ হাসিনার এই পরিণতি, এটা সময়ের প্রতিশোধ। সে এখন যেখানে (ভারত) আছে কৃতদাসের মতো, এটাই তার আসল ঠিকানা।”
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র জন য সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে