জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। প্রায় ১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। রূপের দ্যুতি আর অভিনয় গুণে দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনয় ও গান নিয়ে অকপট মন্তব্য করেছেন তমা। নিজেকে এখনো শিক্ষানবিশ বলে মনে করেন এই নায়িকা। 

অভিনয় জীবন নিয়ে তমা মির্জা বলেন, “আমি এখনো অভিনয় শিখছি। আমার মনে হয় আমি কিছুই পারি না, প্রতিনিয়ত ভুল করছি। আরো ভালো করা উচিত। তো চেষ্টা করছি, দেখা যাক কি হয়।” 

আরো পড়ুন:

অভিনেতা প্রবীর মিত্রকে নিয়ে নতুন উদ্যোগ

প্রেক্ষাগৃহে আসছে পপির সিনেমা

গানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তমা মির্জা বলেন, “আমি কিন্তু গান শুনতে অনেক পছন্দ করি। যখনই ফ্রি টাইম পাই, কাজ নেই, তখনই হয় আমি মুভি দেখি না হলে গান শুনি।” 

গানের শ্রোতা হিসেবে সরস হলেও গানের গলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তমা। তার ভাষায়—“রোমান্টিক গানও ভালো লাগে, স্যাড সংও ভালো লাগে, কাওয়ালিও ভালো লাগে। আমি গান গাইতে পারি না, আমার গানের গলা খুব খারাপ।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে তমা মির্জা বলেন, “আমার মনে হয় এটা একদমই গড গিফটেড। কারণ এই যে যেমন ওদের গান শুনছি, কি অসাধারণ সুর। আমাকে আল্লাহ ওই জিনিসটা দেন নাই। আমাকে অভিনয়ের হয়তো একটা দক্ষতা দিয়েছেন, ওইটা দিয়েই আমি চেষ্টা করছি মানুষের মন জয় করার।” 

২০১০ সালে ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তমা মির্জার অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার প্রথম সারির নায়ক শাকিব খান, আমিন খান, কাজী মারুফ, আফরান নিশো, রোশানসহ অনেককে।  

২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘নদীজন’ সিনেমা। শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত এ সিনেমায় ছায়া চরিত্রে অভিনয় করেন তমা মির্জা। এ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ-পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ