সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুইটি স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৫০ গ্রাম গাঁজা ও ২০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এবং মৌচাক এলাকায় এই অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এলাকার মৃত আঃ মোতালেব স্বর্ণকারের ছেলে মাসুম (৪০), একই এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে শাহ আলী (৩২) এবং কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মজিদপুর গ্রামের মৃত নূর আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)। মেহেদী হাসান বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি আমজাদ মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ বাগমারা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এসময় বাগমারা জামে মসজিদের সামনে গাঁজা বিক্রিকালে স্থানীয় জনতা মাসুম ও শাহ আলীকে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে এবং তাদের থানায় নিয়ে আসে।

অপরদিকে, মৌচাক এলাকায় শামস ফিলিং স্টেশনের সামনের পাকা রাস্তায় পুলিশের একটি দল এক মোটরসাইকেল আরোহীকে সন্দেহবশত গতিরোধ করে।

পরে তার দেহ তল্লাশি করে পরিহিত লুঙ্গির ডান কোচ থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে তার পাশাপাশি একটি লাল রঙের হিরো মোটরসাইকেল ঢাকা মেট্রো-হ ৩৫-৫৫০০ জব্ধ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ৬ হাজার টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে এই সফল অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব গম র এল ক য় উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ