ডিপ টিস্যু ম্যাসাজ: উপকারিতা, ঝুঁকি ও সতর্কতা
Published: 3rd, October 2025 GMT
মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতে মালিশ একটি ভালো থেরাপি। সাম্প্রতিক কালে ডিপ টিস্যু ম্যাসাজ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে; বিভিন্ন থেরাপি সেন্টার ও ম্যাসাজ পারলার এটিকে প্রচারণায় আনছে। এটি উপকারী এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, তবে কিছু কিছু ব্যাপারে এ সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি।
ডিপ টিস্যু ম্যাসাজ কীডিপ টিস্যু ম্যাসাজ হলো একধরনের থেরাপিউটিক ম্যাসাজ যেখানে পেশি ও সংযোগকারী টিস্যুর গভীর স্তরে চাপ প্রয়োগ করা হয়। সাধারণ রিল্যাক্সেশন বা ‘সুইডিশ ম্যাসাজ’-এর তুলনায় এটি ধীরে এবং বেশি চাপ দিয়ে করা হয়। দীর্ঘদিনের পেশির টান, ব্যথা, আঘাতজনিত সমস্যা বা দেহে তৈরি হওয়া ‘গাঁট’ বা আঁকাবাঁকা অংশ ভেঙে দেওয়া এর মূল লক্ষ্য।
ডিপ টিস্যু ম্যাসাজের উপকারিতাব্যথা ও টান কমানো: ঘাড়, কোমর, কাঁধসহ দীর্ঘদিনের পেশির ব্যথায় কার্যকর হতে পারে।
নড়াচড়ার ক্ষমতা বাড়ানো: শক্ত পেশি ঢিলা করে শরীরকে নমনীয় করে।
স্ট্রেস ও মানসিক চাপ কমানো: গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কর্টিসল হরমোন কমাতে সাহায্য করে মুড ভালো করতে পারে।
অ্যাথলেটিক রিকভারি: ক্রীড়াবিদদের জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম বা আঘাতের পর পুনরুদ্ধারে উপকারী হতে পারে।
অতিরিক্ত সুবিধা: ফাইব্রোমায়ালজিয়ার উপসর্গ কমানো, এমনকি ক্যানসার রোগীদের ব্যথা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
আরও পড়ুনবড় ট্রমার পর শিশু–কিশোরদের যেসব যত্ন নিতে হবে ২৩ জুলাই ২০২৫সম্ভাব্য ঝুঁকি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঅতিরিক্ত জোরে চাপ দিলে গুরুতর আঘাতের আশঙ্কাও থাকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি’
‘ভূমিকম্প হওয়ার সময় বাসায় ছিলাম। টেবিলে বসে একটা উপন্যাস পড়ছিলাম। হঠাৎ টেবিলটা নড়ে উঠল। পরে খেয়াল করে দেখলাম ভবনটা দুলছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবুল মুনছুর। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। ভবনের পাঁচতলায় থাকেন তিনি।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপরই আবুল মুনছুর ফেসবুকে লেখেন, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।
আবুল মুনছুরের মতোই অভিজ্ঞতা আরেক চাকরিজীবী মোহাম্মদ সাইমুমের। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। সাইমুম বলেন, ‘ছুটির দিনে বাসাতেই ছিলাম। হঠাৎ খাটটা নড়ে উঠল। দুলতে থাকল কয়েক সেকেন্ড।’
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্প চলাকালে ও পরপরই নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সড়কে নেমে আসেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানান।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম থাকেন নগরের হালিশহর এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটা কাঁপছিল। অল্পতেই শেষ হয়ে গেছে। বড় দুর্যোগ হয়নি।’
চট্টগ্রামে কোনো ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও ভবন হেলে পড়া বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।