সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.

চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।

আরো পড়ুন:

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৭ সেপ্টেম্বর-৩ অক্টোবর)

এ সপ্তাহের রাশিফল (২০-২৬ সেপ্টেম্বর)

মেষ রাশি ‌‌- ( ২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল ) : আবেগ প্রসূত সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। ধৈর্যের অভাবে পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। অর্থোপার্জনের ভালো সুযোগ তৈরি হবে। সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে আপনার মূল্যায়ন বাড়বে। ভ্রমণ শুভ।

বৃষ রাশি - ( ২১ এপ্রিল - ২১ মে ) : মানসিক প্রশান্তি বাড়বে। কোনো ধরনের অলসতা ও দীর্ঘসূত্রিতাকে প্রশ্রয় দিবেন না। নতুন কোনো সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা বাড়বে। পেশাগত জীবনের নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ।

মিথুন রাশি ‌- ( ২২ মে - ২১ জুন ) : ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী গুণাবলীর জন্য আপনার কর্মক্ষেত্রে ও পেশাগত জীবনে জীবনে সফল হবেন। আর্থিক পরিস্থিতি অনেক ভালো থাকবে। পারিবারিক জীবনে বৈচিত্রতা আনুন। ব্যবসায়িক বিনিয়োগের জন্য ভালো সময়। শারীরিক বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

কর্কট রাশি - ( ‌‌২২ জুন - ২৩ জুলাই ) : লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হোন। ভ্রমণের প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে। উচ্চশিক্ষায় সফলতা আসবে। বন্ধু বা ঘনিষ্ঠ কারো কাছ থেকে আন্তরিক সহযোগিতা পাবেন। লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থাকলে সফলতা আসবে। পারিবারিক শান্তি বাড়বে।

সিংহ রাশি ‌‌- ( ২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট ) : সবরকম পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।মানসিক অবসাদ নিরাময়ের চেষ্টা করুন। কোনো ধরনের অলসতাকে প্রশ্রয় দিবেন না। আবেগপ্রবণতা বাড়বে। প্রিয়জনের কাছ থেকে গভীর ও আন্তরিক ভালোবাসা পাবেন। ব্যয়ের মাত্রা বাড়বে। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে।

কন্যা রাশি - ( ২৪ আগস্ট - ২৩ সেপ্টেম্বর ) : সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করুন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়তা প্রয়োজন। আপনার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করবে। পেশাগত সফলতা পাবেন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। পারিবারিক জীবনে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল ও কৌশলী হতে হবে।

তুলা রাশি - ( ২৪ সেপ্টেম্বর - ২৩ অক্টোবর ) : অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। অস্থিরতা ও ধৈর্যহীনতা আপনার সাফল্যের অন্তরায় হতে পারে। সৃজনশীল ও বিনোদন পেশায় যুক্তদের জন্য বেশ ভালো সময়।শারীরিক সুস্থতার জন্য  নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলুন।

বৃশ্চিক রাশি - ( ২৪ অক্টোবর - ২২ নভেম্বর ) : শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। রাগ, জেদ, ক্ষোভের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে চলুন। নিজস্ব ব্যবসায়িক উদ্যোগে সফল হবেন। রোমান্স ও ভ্রমণ শুভ।

ধনু রাশি - ( ২৩ নভেম্বর - ২১ ডিসেম্বর ) : মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সব ধরনের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। সব বিষয়ে পরিমিতিবোধ  দরকার। অপ্রিয় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বুদ্ধিভিত্তিক কাজে সফলতা পাবেন। আর্থিক প্রতারণা সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

মকর রাশি - ( ২২ ডিসেম্বর - ২০ জানুয়ারি ) : সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করুন। ব্যক্তিগত মাধুর্য ও আকর্ষণীয় ক্ষমতার জন্য সফলতা পাবেন। মানসিক দ্বৈত ভাবের জন্য পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হবে। কারো প্রশংসায় প্রভাবিত হবেন না। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ।

কুম্ভ রাশি ‌‌- ( ২১ জানুয়ারি - ১৮ ফেব্রুয়ারি ) : বিশ্বস্ত ও অবিচল মানসিকতার জন্য সফলতা আসবে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। নতুন কোনো চিন্তাধারাকে সহজভাবে গ্রহণ করুন। সৃজনশীল কাজে সফলতা পাবেন। বিনিয়োগে সফল হবেন। প্রেমের দৃঢ়তা প্রয়োজন।

মীন রাশি - ( ১৯ ফেব্রুয়ারি - ২০ মার্চ ) : পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুনত্ব পাবেন। এ সপ্তাহে আপনি স্বাধীনপ্রিয় ও অনুসন্ধানযুক্ত মানসিকতার জন্য সফলতা পাবেন। কাজে কর্মে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বাড়বে। আপনাকে অবশ্যই অস্থিরতা ও ধৈর্যহীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পারিবারিক জীবনে বদমেজাজি ভাব বাড়তে পারে। 

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল স প ট ম বর প শ গত র জন য ভ রমণ আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জ্যাকুলিন মার্স: ক্যান্ডি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, পোষা প্রাণীর খাবার ও দাতব্য কাজে বিশ্বখ্যাত

বিশ্বের সেরা ধনী নারীদের একজন জ্যাকুলিন মার্স। তিনি মার্স কনফেকশনারি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বের অন্যতম নিভৃতচারী ধনকুবেরও। ১৯৩৯ সালে ফরেস্ট মার্স সিনিয়র ও অড্রি রুথ মায়ারের ঘরে জন্ম নেওয়া জ্যাকুলিন বেড়ে ওঠেন এমন এক পরিবারে, যাদের সাফল্যের কাহিনি আমেরিকার ব্যবসায়িক ইতিহাসে অনন্য।

মার্সের পিতামহ দাদা ফ্রাঙ্ক সি. মার্স ১৯১১ সালে মার্স ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠা করেন। সাধারণ ক্যান্ডির রেসিপি দিয়ে এই ব্যবসার সূত্রপাত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছোট ব্যবসা থেকে তৈরি হয় মিল্কি ওয়ে, স্নিকার্সের মতো জনপ্রিয় চকলেট। ধীরে ধীরে তা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ক্যান্ডির পাশাপাশি পোষা প্রাণীর খাবার, সাধারণ খাদ্যপণ্য ও চুইংগামের মতো বহুবিধ খাতে এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। খবর ফোর্বস।

ফোর্বসের তালিকা অনুসারে, জ্যাকুলিন এখন বিশ্বের ৪৩তম শীর্ষ ধনী। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪০ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৯০ কোটি ডলার। কিন্তু অনেক উত্তরাধিকারীর মতো তিনি নিছক মালিক হয়ে চুপচাপ বসে থাকেননি।

১৯৬১ সালে ব্রিন মাওর কলেজ থেকে নৃতত্ত্বে ডিগ্রি অর্জনের পর জ্যাকুলিন মার্স ইনকরপোরেটেডে যোগ দেন। প্রায় দুই দশক সেখানে কাজ করেছেন তিনি। কোম্পানির ফুড প্রোডাক্টস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তীকালে পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নেন। ২০১৬ সালে পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে তাঁর করপোরেট অধ্যায়ের ইতি ঘটে। কোম্পানির ভেতরে তাঁর উত্তরাধিকার অবশ্য অক্ষুণ্ন থেকে যায়।

১৯৯৯ সালে জ্যাকুলিনের বাবা মারা গেলে মার্স ইনকরপোরেটেডের বিশাল অংশীদারত্ব তিন ভাইবোনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে জ্যাকুলিন কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ মালিকানা ধরে রেখেছেন। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সেই শেয়ার এবং কোম্পানির ব্যবসায়িক সফলতার সূত্রে এখন তিনি ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের মালিক।

সাধারণ জীবন

জ্যাকুলিন মার্স অন্যান্য ধনকুবেরের মতো জমকালো জীবন যাপন করেন না। তিনি সচরাচর কাউকে সাক্ষাৎ দেন না, সংবাদমাধ্যম থেকেও দূরে থাকেন। তাঁর নিজের নামের চেয়ে বেশি পরিচিত মার্স ব্র্যান্ড। তিনি বরং জনসমক্ষে পরিচিত হয়েছেন দাতব্য কাজ ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। তিনি ছিলেন স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের ট্রাস্টি। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল স্পোর্টিং লাইব্রেরি অ্যান্ড মিউজিয়ামের সঙ্গে জড়িত। ওয়াশিংটন ন্যাশনাল অপেরার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ছিলেন ন্যাশনাল আর্কাইভস ফাউন্ডেশনের পর্ষদ সদস্য। পরিবেশ রক্ষায়ও তিনি সক্রিয়। ভার্জিনিয়ায় নিজের জমি সংরক্ষণ ট্রাস্টের আওতায় দিয়েছেন, পরিচালনা করছেন একটি জৈব কৃষিখামার। অশ্বারোহণ সব সময় তাঁর নেশা। যুক্তরাষ্ট্রের ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিমে তাঁর সম্পৃক্ততা থেকে বোঝা যায়, ব্যক্তিগত আগ্রহ ও জনকল্যাণকে তিনি কীভাবে একসূত্রে মিলিয়েছেন।

আজও জ্যাকুলিন মার্স জনসমক্ষে নেই, বরং গোপনেই চালিয়ে যাচ্ছেন দাতব্য কাজ, সংস্কৃতি ও অশ্বারোহণ কার্যক্রম। তাঁর ছেলে স্টিফেন ব্যাজার বর্তমানে মার্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। ফলে পরিবারের ব্যবসায়িক ঐতিহ্য অব্যাহত আছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, মার্স ইনকরপোরেটেড যক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল পারিবারিক বেসরকারি কোম্পানিগুলোর একটি। এই কোম্পানির সফলতা প্রমাণ করে, গোপনীয়তা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করে প্রকাশ্যে শেয়ারবাজারের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব।

একমাত্র বিতর্ক

জ্যাকুলিনের জীবন অবশ্য বিতর্কহীন নয়। ২০১৩ সালে ভার্জিনিয়ায় তিনি এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর গাড়ি উল্টো লেনে চলে গিয়ে একটি মাইক্রোভ্যানকে ধাক্কা দিলে এক যাত্রী মারা যান এবং কয়েকজন আহত হন। তিনি নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালনার দায় স্বীকার করেন। শাস্তি হিসেবে আদালত তাঁকে জরিমানা করেন এবং তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এই ঘটনাই হয়তো একমাত্র উপলক্ষ, যখন তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনামে চলে আসেন।

অনেকে বলেন, জ্যাকুলিন মার্স নিজের প্রচেষ্টা ও পারিবারিক উত্তরাধিকারের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। একদিকে তিনি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, অন্যদিকে কোম্পানিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব শ্রম এবং অংশগ্রহণও রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি শিল্প-সংস্কৃতি, পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষায় সমাজে অবদান রেখেছেন। প্রচারমুখর বা সেলিব্রেটি ধনকুবেরদের ভিড়ে তিনি আলাদা—অপরিসীম ধনী ও প্রভাবশালী, কিন্তু পাদপ্রদীপের আলোয় না থাকা নিস্তরঙ্গ জীবন যাপনকারী শীর্ষ ধনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্যাকুলিন মার্স: ক্যান্ডি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, পোষা প্রাণীর খাবার ও দাতব্য কাজে বিশ্বখ্যাত