পেঁপে একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল, যা সহজলভ্য এবং সারা বছর পাওয়া যায়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। আছে প্রোটিন, চর্বি, তেল, এনজাইম, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন ও খনিজ। এতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। তবে ভিটামিন সি আছে প্রচুর।

প্রচুর পরিমাণে এনজাইম রয়েছে, যা হজমের জন্য উপকারী।

ফাইবার থাকে অনেক, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ভিটামিন এ ও সি রয়েছে প্রচুর, যা নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।

প্রোভিটামিন, ডায়েটারি ফাইবার ও খনিজ পদার্থ দাঁতব্যথা, মুখের আলসার ও মাড়ির রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে।

কাঁচা পেঁপেতে থাকা ফলিক অ্যাসিড কিছু প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

ভিটামিন সি জয়েন্টের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা পেঁপেতে এনজাইম প্যাপাইন ও ভিটামিন সি বেশি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ আন্তর্জাতিক ‘পুরুষ দিবস’

১৯৬০-এর দশক থেকেই পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ দিবস প্রচলন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর ১৯৬৯ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ২৩ ফেব্রুয়ারিকে পুরুষ দিবস হিসেবে পালনের আগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ হিসেবে পালিত হতো। যা মূলত পুরুষদের বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য উদযাপিত হতো। এ জন্য দিনটি গৃহীত হয়নি।

১৯ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন ড. জেরোম টিলাকসিং। তিনি ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে অবস্থিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ের একজন প্রভাষক। টিকালিং তার বাবার জন্মদিন এবং একই দিনে দেশের ফুটবল দলের একটি বিশেষ অর্জনের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে এই তারিখটি বেছে নেন। 

আরো পড়ুন:

হার্মিস: ভাইয়ের গরু চুরি করে বীণা উপহার দিয়েছিলেন

কণ্ঠস্বর ভালো রাখার জন্য যেসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন

প্রতি বছর এই দিনে পুরুষ এবং ছেলেদের স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, ইতিবাচক পুরুষ ভূমিকা এবং সমাজে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরা হয়।

এই দিবসের লক্ষ্য হলো পুরুষদের মুখোমুখি হওয়া নানা সমস্যা, যেমন আত্মহত্যা, সহিংসতা এবং মানসিক চাপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করা।  আরও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে—

ইতিবাচক রোল মডেল তুলে ধরা
শুধুমাত্র বিখ্যাত ব্যক্তিরা নন, বরং প্রতিদিনের সাধারণ পুরুষদের ইতিবাচক অবদানকে সমাজে তুলে ধরা। 

স্বাস্থ্য ও সুস্থতা
পুরুষ ও ছেলে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা
লিঙ্গভিত্তিক সমতা উন্নীত করা এবং নারী-পুরুষের আলোচনায় ভারসাম্য আনা।

বৈষম্য দূর করা
পুরুষদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া
পরিবার, সমাজ এবং সম্প্রদায়ে পুরুষদের ইতিবাচক অবদানকে উদযাপন ও স্বীকৃতি দেওয়া। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ