মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানানোর পরেও থামছে না ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। 

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা সিটিতে কয়েক ডজন বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। শনিবার ভোর থেকে উপত্যকা জুড়ে সাতজন নিহত হয়েছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, “এটি একটি অত্যন্ত সহিংস রাত ছিল, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান সত্ত্বেও গাজা সিটি এবং উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় কয়েক ডজন বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ করেছে।”

বাসাল জানিয়েছেন, রাতভর বোমাবর্ষণে ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

গাজা সিটির ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহরের তুফাহ পাড়ার একটি বাড়িতে হামলায় তারা হতাহতের খবর পেয়েছে, যার মধ্যে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

খান ইউনিসের গাজার নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি শিবিরের তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।

শুক্রবার রাতে হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে রাজি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব জিম্মি মুক্তির আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসনভার তারা একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরব ও ইসলামি সমর্থনে গঠিত স্বতন্ত্র (টেকনোক্র্যাট) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।

এর পরেই ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, “হামাসের প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত। জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে বের করে আনতে হলে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ ছাত্রদল নেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. খোকন মিয়ার (৪০) বাড়ি উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই ভাই ছিলেন। ৬-৭ বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলাও হয়। স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের বিরোধ মেটাতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলে তা মানেননি কেউ।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ