ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ
Published: 4th, October 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানানোর পরেও থামছে না ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা সিটিতে কয়েক ডজন বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। শনিবার ভোর থেকে উপত্যকা জুড়ে সাতজন নিহত হয়েছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, “এটি একটি অত্যন্ত সহিংস রাত ছিল, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান সত্ত্বেও গাজা সিটি এবং উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় কয়েক ডজন বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ করেছে।”
বাসাল জানিয়েছেন, রাতভর বোমাবর্ষণে ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
গাজা সিটির ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহরের তুফাহ পাড়ার একটি বাড়িতে হামলায় তারা হতাহতের খবর পেয়েছে, যার মধ্যে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
খান ইউনিসের গাজার নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি শিবিরের তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে রাজি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব জিম্মি মুক্তির আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসনভার তারা একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরব ও ইসলামি সমর্থনে গঠিত স্বতন্ত্র (টেকনোক্র্যাট) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
এর পরেই ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, “হামাসের প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত। জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে বের করে আনতে হলে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।’