ট্রাম্পের আহ্বানের পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত
Published: 4th, October 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনায় হামাস আংশিকভাবে সম্মতি জানানোর পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেছিলেন। কিন্তু এরপরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও হুমকি বন্ধ নেই।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের গাজা নগরীতে ফিরে না আসতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। তারা এই অঞ্চলটিকে একটি ‘বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ বলে অভিহিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র লিখেছেন, ‘গাজা উপত্যকার সব বাসিন্দার জন্য জরুরি ঘোষণা ও সতর্কবার্তা। ওয়াদি গাজার উত্তরের এলাকাটি এখনো একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র। এই এলাকায় থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দক্ষিণে যেতে হলে আপনাদের জন্য রশিদ স্ট্রিট খোলা রয়েছে।
মুখপাত্র হুমকি দিয়ে আরও লিখেছেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার জন্য, উত্তরে ফেরা থেকে বিরত থাকুন। সেই সঙ্গে উপত্যকার কোনো স্থানে—এমনকি দক্ষিণেও—প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযানের এলাকার কাছে আসবেন না।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৬৫ জন।
মন্ত্রণালয় জানায়, এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৭৪ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৩০ জন। তবে নিহত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেব বেশি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।