ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪৫০ জন অধিকারকর্মী ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইতালির চারজন অধিকারকর্মীকে গতকাল শুক্রবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার আজ শনিবার ১৩৭ জনকে তুরস্কে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আটক অধিকারকর্মীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। এসব অধিকারকর্মীর মধ্যে সুইডেনের জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শনিবার জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে আটক করার পর ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাঁদের তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তুরস্কে পাঠানো অধিকারকর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মরিটানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া ও তুরস্কের নাগরিক।

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’–এর আয়োজকেরা শুক্রবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের ৪২টি জাহাজকে ‘অবৈধভাবে আটক করেছে’। নৌযানগুলোতে মানবিক সহায়তা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ছিলেন।

আরও পড়ুনফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: ফেসবুকে শহিদুল আলম৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত রস ক ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের চাপে নতি স্বীকার না করায় সোনার পদক পাচ্ছেন নাকভি

পাকিস্তানের তো বটেই, এশিয়ার ক্রিকেটেই এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম মহসিন নাকভি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান—অনেকগুলো বড় পদই এখন নাকভির। সেই নাকভি এবার সাহসিকতা ও বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল করার জন্য সোনার পদক পেতে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের একটি সংস্থা তাঁকে শহীদ জুলফিকার আলী ভুট্টো এক্সিলেন্স গোল্ড মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

নাকভি সোনার পদকটি পাচ্ছেন এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে তাঁর আলোচিত–সমালোচিত ভূমিকার জন্য। পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতীয়রা তাঁর হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি ছাড়াই দেশে ফিরতে হয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দলকে। ‘আমার হাত থেকে না নিলে ট্রফিই দেব না’—এমন মনোভাব থেকেই ভারতকে না দিয়ে ট্রফি নিয়ে হোটেলে ফেরেন নাকভি।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। নাকভি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ‘ভারত যদি সত্যি সত্যিই ট্রফি নিতে চায়, তবে এসিসির সদর দপ্তরে এসে নিতে পারে। তাদের স্বাগতই জানানো হবে।’

অদৃশ্য ট্রফি নিয়ে ভারতীয়দের শিরোপা উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ