ভারতের সাথে সংঘর্ষ ‘বিপর্যয়কর ধ্বংস’ ডেকে আনবে: পাকিস্তান
Published: 4th, October 2025 GMT
ভারতের সাথে ভবিষ্যতে যে কোনো সংঘর্ষ ‘বিপর্যয়কর ধ্বংস’ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তান কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে। শনিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ভারতের শীর্ষ বেসামরিক-সামরিক নেতৃত্বের উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে ‘পিছিয়ে থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ইতিহাস ও ভূগোল বদলের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনো আগ্রাসনের জবাবে এমন প্রত্যাঘাত হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার জানিয়েছিল, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, মানচিত্রে পাকিস্তানকে তার স্থান ধরে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতামূলক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় বাহিনী ‘এবার কোনও সংযম দেখাবে না।’
শনিবার এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, “ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রধানদের অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের মুখে, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি যে ভবিষ্যতে সংঘাত ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি নতুন করে শত্রুতা শুরু হয়, তাহলে পাকিস্তান পিছিয়ে থাকবে না। আমরা কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে এক সপ্তাহে ৬৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৬৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, শিশুপাচারকারী, জুয়াড়ি, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তসহ মোট ৬৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি ম্যাগাজিন,৩টি ককটেল, ২৭টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ৬২ জেলায় সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা অর্চনার প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে কাছের সেনাক্যাম্পে তথ্য দিতে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।