ভারতের সাথে ভবিষ্যতে যে কোনো সংঘর্ষ ‘বিপর্যয়কর ধ্বংস’ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তান কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে। শনিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।

ভারতের শীর্ষ বেসামরিক-সামরিক নেতৃত্বের উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে ‘পিছিয়ে থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ইতিহাস ও ভূগোল বদলের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনো আগ্রাসনের জবাব‌ে এমন প্রত্যাঘাত হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার জানিয়েছিল, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, মানচিত্রে পাকিস্তানকে তার স্থান ধরে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতামূলক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় বাহিনী ‘এবার কোনও সংযম দেখাবে না।’

শনিবার এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, “ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রধানদের অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের মুখে, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি যে ভবিষ্যতে সংঘাত ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি নতুন করে শত্রুতা শুরু হয়, তাহলে পাকিস্তান পিছিয়ে থাকবে না। আমরা কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৫ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পৃথক দুটি অভিযানে ১৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল্লাহর সেনাবাহিনী: ফিল্ড মার্শাল মুনির

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

আইএসপিআর জানায়, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর এই অভিযান দুটি চালানো হয়। নিহত সন্ত্রাসীরা ‘ভারতীয় ছায়া বাহিনী’ ফিতনা আল খাওয়ারিজের সদস্য। খবর দ্য ডনের।

পাকিস্তান নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সন্ত্রাসীদের বোঝাতে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।

আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখওয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় প্রথম অভিযানটি চালানো হয়। এখানে খারজি চক্রের নেতা আলম মেহসুদ সহ ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়। অপর অভিযানটি চালানো হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্ত খেল এলাকায়। এখানে আরো পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওই এলাকায় ভারতীয় মদদপুষ্ট আরো কোনো খারজি লুকিয়ে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে নিবিড় তল্লাশি অভিযান চলছে।

এসব অভিযানে সফলতা পাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যমত্যের সঙ্গে বিদেশি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে।”

তিনি সন্ত্রাসী চক্রের নেতাকে হত্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর সফল কৌশলের প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য থেকে মনোযোগ সরানোর রাজনৈতিক পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না।” 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরীফ বলেন, “আজম-ই-ইস্তেহকামের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে, নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করছে। আমরা দেশ থেকে সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

এর আগে গত সপ্তাহে আইএসপিআর জানিয়েছিল যে, নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে অন্তত ২৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৫ সন্ত্রাসী নিহত