অলিম্পিক আটবারের চ্যাম্পিয়ন স্প্রিন্ট কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট এবার ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়লেন তাঁর স্বপ্নের রিলে দল। সেই দলে জায়গা পেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। মাঠে কোহলির গতি ও ক্ষিপ্রতাই তাঁকে দলে জায়গা দিয়েছে, বলেছেন বোল্ট। জ্যামাইকান কিংবদন্তি আরও জানান, তাঁর রিলে দলে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসও।

বোল্ট বর্তমানে ভারত সফরে আছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্ট এই দল গড়েছেন। সেখানে বোল্ট বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম। আমার মনে হয় কোহলিকে রাখতে হবে। ও আসলেই খুব দ্রুতগামী। ব্রেট লি থাকবে, আর জন্টি রোডসের নামও বলব।’

আরও পড়ুনসাদমানের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি৬ ঘণ্টা আগে

বোল্ট বলেন, একসময় ক্রিকেটই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি ছিলেন ফাস্ট বোলার। কিন্তু তাঁর ক্রিকেট কোচই একদিন তাঁকে দৌড়ে নামার পরামর্শ দেন। কোচের পরামর্শেই তিনি ট্র্যাকে নামেন এবং পরের ইতিহাস তো সবারই জানা। বোল্টের ভাষায়, ‘আমার ক্রিকেট কোচই আমাকে ট্র্যাকে নামান। আমি তখন ফাস্ট বোলার ছিলাম। কোচ আমাকে দৌড়াতে দেখে বললেন,  ‘‘ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে চেষ্টা করে দেখো তো’’। আমি চেষ্টা করলাম আর দারুণ করলাম। প্রতিভা ছিল, তাই সেটিই চালিয়ে গেছি।’

উসাইন বোল্ট.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৩

দক্ষিণ লেবাননের একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা আইন এল-হিলওয়ে এলাকায় ‘একটি প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ডে কর্মরত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যদের’ লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর

ইসরায়েল বলছে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য এই স্থানটি ব্যবহার করেছিল। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবিকে ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের পক্ষ জোর দিয়ে বলা হয়েছে, লেবাননের শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। একটি বিবৃতি দিয়ে হামাস দাবি করেছে, নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি লেবাননের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এটি ইসরায়েলের একটি বর্বর আগ্রাসন।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক বছর পর এটি ছিল লেবাননে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি। 

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে এবং প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। 

ইসরায়েল এসব হামলা লেবাননে চলা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ